AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata COVID: কলকাতায় কি জারি হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন? কলকাতা পুরনিগমের বিশেষ নোটিস

Kolkata COVID: আপাতত মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করে নোটিস ইস্যু করা হবে। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে তেমনটাই খবর মিলছে।

Kolkata COVID: কলকাতায় কি জারি হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন? কলকাতা পুরনিগমের বিশেষ নোটিস
কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোন (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 2:21 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যে ফের করোনা (COVID) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের গতি রুখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন। তবে কলকাতায় এখনই কনটেইনমেন্ট জোন চাইছে না কলকাতা পুরসভা। আপাতত মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করে নোটিস ইস্যু করা হবে। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে তেমনটাই খবর মিলছে।

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখনই কনটেইনমেন্ট জোন আমরা করছি না। কলকাতায় বেশিরভাগেরই ভ্যাক্সিনেশন হয়ে গেছে। তাই করোনা হলেও আতঙ্ক কম। মানুষকে সচেতন করতে আমরা ছোট ছোট মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করে নোটিশ দিচ্ছি।”

ফিরহাদ হাকিম আরও বলেছেন, “পাশাপাশি আমরা কলকাতা পুরসভার তরফে এলাকায় জোরদার প্রচার শুরু করছি। কলকাতা পুলিশকে আমি কড়াভাবে নির্দেশ দিচ্ছি, মানুষ যাতে মাস্ক পরে এবং যতটা ভিড় এড়িয়ে চলা সম্ভব, তার জন্য পুলিশ প্রশাসন যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।”

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতা (Kolkata) করোনা আক্রান্ত হন ২৬৮ জন। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২৪২ জন। কিন্তু এই তথ্যের সঙ্গে মিলছে না কলকাতা পুরসভা (Kokata Municipality)-র দেওয়া দৈনিক করোনা আক্রান্তের লিস্ট! বুধবার পুরসভা বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪৯ জন। কেন প্রশাসনের দুই তরফ দুই রকম তথ্য দিচ্ছে? শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এই প্রেক্ষিতে নিজেদের ব্যাখ্য়া দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে বলা হচ্ছে, অনেকগুলো করোনা পজিটিভ কেসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সেগুলো বাদ দিতে হবে। চূড়ান্ত স্ক্রিনিংয়ের পর তা বাতিল করা হবে বলে জানাল তারা।

শনিবার এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলি থেকে অনেকে নিজেদের ঠিকানা দিচ্ছেন কলকাতা বলেই। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবে এই পরীক্ষাগুলি হয়েছে। পরে আক্রান্ত বা তাদের পরিবারকে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে আসল ঠিকানা যাচাই করা হয়। তারপর জেলাগুলির পুনরায় ম্যাপিং হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা নিয়মিত এই প্রক্রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা জানাই এবং এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। আমরা কেবল চূড়ান্ত পরিসংখ্যানই ঘোষণা করি। আমরা জানি না যে এর মধ্যে কোন কর্তৃপক্ষ বা কেউ কী পরিসংখ্যান দেখিয়েছে বা কোথা থেকে তা এসেছে, তা আমাদের জানার বাইরে।” এমনকি কলকাতা পুরসভার দেয় তথ্যেরও দায়িত্ব তারা নিতে চায়নি। এদিকে এই প্রেক্ষিতে পুরসভার প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে প্রশাসনের মধ্যেই করোনা রিপোর্টে দু’রকম তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, এর আগে টিকাকরণ নিয়ে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৫,৮৫,৪৬৬। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি হয়েছেন ১২ জন। আর করোনা থেকে সুস্থতার হার এখন ৯৮.৩১ শতাংশ। মৃত্যুহার ১.২০ শতাংশ। কোভিড বুলেটিন জানাচ্ছে, ২৩ অক্টোবর মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ১৫৯টি। রাজ্যে মোট পজিটিভিটি রেট এখন ২.২৬ শতাংশ। আর একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮০৮ জন।

আরও পড়ুন: ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার