Siliguri: টাইম কলের জলে ‘বিষ’? পানের অযোগ্য জানাল শিলিগুড়ি পুরনিগম
Siliguri Water Problem: সাধারণভাবে তিস্তা নদীর জলকে ক্যানেলের মাধ্যমে এনে পরিশ্রুত করে টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে শিলিগুড়ি পুর এলাকায়। কিন্তু বর্তমানে তিস্তার সেই ক্য়ানেলে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই বর্তমানে মহানন্দা নদীর জলকে পরিশ্রুত করে টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করছে পুরনিগম। আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।
শিলিগুড়ি: টাইম কলের জলে ‘বিষ’? আপাতত টাইম কলের জল পানে বিরত থাকার পরামর্শ শিলিগুড়ি পুরনিগমের। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আলিপুরদুয়ার থেকে পানীয় জলের পাউচ আনার ব্যবস্থা করছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। পুরনিগম থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টাইম কলের জল দিয়ে বাকি সব কাজ করা গেলেও, ওই জল পানের যোগ্য নয়। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? সাধারণভাবে তিস্তা নদীর জলকে ক্যানেলের মাধ্যমে এনে পরিশ্রুত করে টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে শিলিগুড়ি পুর এলাকায়। কিন্তু বর্তমানে তিস্তার সেই ক্য়ানেলে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই বর্তমানে মহানন্দা নদীর জলকে পরিশ্রুত করে টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করছে পুরনিগম। আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।
উত্তরের বিভিন্ন নদীর মধ্যে সবথেকে দূষিত জল এই মহানন্দা নদীতেই। পরিবেশ দূষণ দফতরের বিভিন্ন রিপোর্টে অতীতে মহানন্দার জল দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠে এসেছে। সম্প্রতি তিস্তার ক্যানেলে সংস্কারের কাজ চলায় এই মহানন্দার জলই শোধন করে টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সম্প্রতি মহানন্দার জল নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। গতকালই সেই রিপোর্ট এসেছে পুরনিগমের কাছে। তাতে বলে দেওয়া হয়েছে, এই জল কার্যত পানের অযোগ্য।
এদিকে শিলিগুড়ি শহরের বহু মানুষের কাছে পানীয় জল হিসেবে এই টাইম কলের জলই ভরসা। গত কয়েকদিনেও অনেকেই মহানন্দার এই শোধিত জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু শিলিগুড়ি পুরনিগমের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আবার শহরে জলের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানিয়ে দিয়েছেন, ‘টাইম কলের জল এখন পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি। পুরনিগম থেকে যে জল বাড়িতে বাড়িতে যায়, সেই জলে অন্যান্য কাজ করুন, কিন্তু পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করবেন না।’ এদিকে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘গত ১৫-১৬ দিন ধরে কি তাহলে শিলিগুড়ির মানুষ বিষ-যুক্ত জল খেলেন? সেই জল কেন পরীক্ষা না করেই মানুষকে খাওয়ানো হল? তার মানে শিলিগুড়ি পুরনিগম দূষিত জলের নামে বিষ জল পান করালেন শিলিগুড়ি শহরবাসীকে।’