Siliguri Water Problem: কুুুপন দিয়ে নিতে হচ্ছে জলের পাউচ, শিলিগুড়িতে আজও সঙ্কটে ‘জীবন’

Siliguri Water Problem: জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন,  "আমরা যখনই জেনেছি টাইম কলের জল দূষিত, তখনই তা বন্ধ করেছি। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। আগামী দুই জুন থেকে ফের তিস্তার শোধিত জল আমরা সরবরাহ করতে পারব। ততটা সময় এভাবে ট্যাঙ্কারেও পাউচে জল বিলি হবে।"

Siliguri Water Problem: কুুুপন দিয়ে নিতে হচ্ছে জলের পাউচ, শিলিগুড়িতে আজও সঙ্কটে 'জীবন'
শিলিগুড়িতে জলের সমস্যা Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2024 | 1:19 PM

শিলিগুড়ি:  জল নিয়ে এখনও হাহাকার অব্যাহত।  কিছু এলাকায় কুপন দিয়ে মিলছে জল। শুক্রবার  ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিস্থিতি দেখতে যাবেন মেয়র গৌতম দেব। জল নিয়ে সঙ্কট চলছেই। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ট্যাঙ্কারে করে জল বিলি করছে পৌরনিগম। বিলি করা হচ্ছে পাউচ। আর ভোটের আবহে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এই জল সঙ্কট কেন্দ্র করে। গতকাল সিপিএমের বিক্ষোভে উত্তাল হয় শিলিগুড়ি।

শুক্রবার সকালে চাহিদা মেটাতে দেড় লক্ষের বেশি পাউচ শহরে বিলি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে লম্বা লাইনে তা সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন,  “আমরা যখনই জেনেছি টাইম কলের জল দূষিত, তখনই তা বন্ধ করেছি। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। আগামী দুই জুন থেকে ফের তিস্তার শোধিত জল আমরা সরবরাহ করতে পারব। ততটা সময় এভাবে ট্যাঙ্কারে ও পাউচে জল বিলি হবে।”

রয়েছে আরও একটি বিষয়।  জলের পাউচে লেখা নেই তৈরির তারিখ ও ব্যবহারের সর্বোচ্চ তারিখ। তাই সেটা নিয়েও ধন্দে স্থানীয় বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা বলেন, “বুঝতে পারছি না। বিশ্বাস করেই নিচ্ছি আপাতত। পর্যাপ্ত জল নেই। ফুটিয়ে ও কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছি।”

গত বুধবার শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব শহরবাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করেছিলেন, পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত, যাতে কেউ পৌরসভা থেকে দেওয়া জল পান না করেন। কয়েক দিনের জন্য জলপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তিনি। জলের মান খারাপ হয়েছে বলে সেই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত দু-তিন দিনে শহরবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সঙ্কট তৈরি হয়। পরিস্থিতিতে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে নবান্নও। নবান্নের তরফে একটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিটের একটি গাড়ি পাঠায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। কতদিন ধরে এই সমস্যা চলবে, তা নিয়ে চিন্তায় বাসিন্দারা। যদিও মেয়র পারিষদ আশ্বাস দিয়েছেন, ২ তারিখের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।