Siliguri: আবর্জনার গাড়িতে বিলি হচ্ছে জলের পাউচ! শিলিগড়িতে ‘জীবনের’ সঙ্কট মেটাতে বাজি রাখা হল স্বাস্থ্য
Siliguri: নবান্নের তরফে একটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিটের একটি গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে পাউচ করে শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল বিলি শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও অস্বাস্থ্যের ছবি। দেখা গেল আবর্জনার ফেলা হয় যে গাড়িতে, সেই ট্রাকেই কালো প্লাস্টিক চাপিয়ে, তার ওপর জলের পাউচ নিয়ে আসা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পানীয় জলের জন্য হাহাকার! পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার তরফ জলের পাউচ বিলি করা হয়েছে। সেই পাউচ নিয়েও হাজারও জটিলতা! প্রথম থেকে বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন উঠছিল, জলের পাউচে তো কোনও তারিখ লেখা নেই। যেমনটা থাকে জলের বোতলে। কিন্তু পাউচে তারিখ লেখা না থাকায়, তা মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা, বোঝার উপায় নেই। আর এসবের ধন্দের মধ্যেই TV9 বাংলার ক্যামেরার ধরা পড়ল আরও ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আবর্জনার গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানীয় জলের পাউচ। চরম অস্বাস্থ্যকর একটা ছবি। ক্যামেরা দেখেই দে-ছুট! মুখ লুকানোর চেষ্টা পুরকর্মীদের। শিলিগুড়িতে হচ্ছেটা কী? পুরসভার ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
গত বুধবার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব নির্দেশিকা জারি করে পুরসভা থেকে সরবরাহ করা জল পান করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কারণ সেই জল পানের অযোগ্য, অস্বাস্থ্যকর। এরপরই শিলিগুড়িতে গত দু-তিন দিন ব্যাপী জল নিয়ে চরম হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয় নবান্ন।
নবান্নের তরফে একটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিটের একটি গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে পাউচ করে শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল বিলি শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও অস্বাস্থ্যের ছবি। দেখা গেল আবর্জনার ফেলা হয় যে গাড়িতে, সেই ট্রাকেই কালো প্লাস্টিক চাপিয়ে, তার ওপর জলের পাউচ নিয়ে আসা হচ্ছে। গাড়িগুলিকে ধোয়াও হয়নি। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টন জঞ্জাল আবর্জনা নিয়ে আসা হয় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে, সেই গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জলের পাউচ।
এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরকর্মী বলেন, “এটা হেড অফিসের সঙ্গে কথা বলে দেখুন। হেড অফিস থেকে বলেছে আমাদের। আমরা এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
আর কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেই পাউচ? খোঁজ নিয়ে দেখা একটা খোলা মাঠে মেশিন দাঁড় করানো হয়েছে। মাঠে বৃষ্টি কাদা-জল জমা। মেশিন থেকে পাউচ বেরিয়ে পড়ছে সেই কাদার মধ্যেই। সেই পাউচেই ভরা হচ্ছে জল, আর তা পান করছেন আম জনতা। পুরকর্তা বলেন, “এখন কিছু করার নেই। কী পরিস্থিতি বলুন।”
আর এই সামগ্রিক পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যদিও জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, “আমরা যখনই জেনেছি টাইম কলের জল দূষিত, তখনই তা বন্ধ করেছি। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। আগামী দুই জুন থেকে ফের তিস্তার শোধিত জল আমরা সরবরাহ করতে পারব।”