Siliguri Ramkrishna Mission: ১৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার শিলিগুড়ি মিশনে হামলায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়
Siliguri Ramkrishna Mission: সেবক রোডের চার মাইলে দেড় একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। অভিযুক্ত প্রদীপ রায় দাবি করেছিলেন, তিনি ওই জমির মালিক। যদিও পরে পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমির মালিকানা মিশনেরই। ১৯ মে মাঝ রাত, তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় নামে জনৈক ওই ব্যক্তি-সহ আরও ১০-১২ জন মিশনের ঘরে ঢোকে।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এবার জালে। শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপকে। তাঁকে রবিবারই জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। এর পাশাপাশি সেদিনের হামলার পিছনে পুলিশি তদন্তে যে KGF গ্যাঙের নাম উঠে এসেছিল, তার মাথা অলোক দাসকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, অলোক প্রথমে গাড়ি রিকভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। পরে তিনি মাসলম্যানদের নিয়ে একটি গ্যাং তৈরি করেন। শিলিগুড়ি মিশনে হামলার ঘটনায় এই গ্যাঙের নাম উঠে আসে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
মূলত, সেবক রোডের চার মাইলে দেড় একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। অভিযুক্ত প্রদীপ রায় দাবি করেছিলেন, তিনি ওই জমির মালিক। ১৯ মে মাঝ রাত, তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় নামে জনৈক ওই ব্যক্তি-সহ আরও ১০-১২ জন মিশনের ঘরে ঢোকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েকজন কর্মী সেখানে ছিলেন। তাঁদেরকে ভয় দেখানো হয়, মারধর করে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়।
এরপর মিশনের তরফ থেকে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রদীপ রায়ের নাম সেই অভিযোগের তালিকায় প্রথমেই ছিল। সেদিনই বিকালে প্রদীপ রায় স্বয়ং থানায় উপস্থিত হয়েছিলেন। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেনি, জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। উল্টে তিনিই মিশনের মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ধন্দ ১ . হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেন আইসি। উল্লেখ্য, প্রদীপ রায় যে এফআইআর করেছিলেন তাতে স্বামী অক্ষয়ানন্দের নাম রয়েছে। যিনি ১৫ বছর আগে জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি প্রয়াগরাজে থাকেন। পুরনো নথি না ঘেঁটেই কীভাবে FIR, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ভক্তিনগর থানার আইসি-র ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ধন্দ ২. এরপর তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠকে বসেন ডিএসপি। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করে নেন, প্রদীপ মিথ্যা কথা বলছেন। জমির মালিকানা মিশনেরই। তার মধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তখনও প্রদীপের কোনও টিকি পাওয়া যায়নি।
ধন্দ ৩. এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, হামলার ঘটনায় অন্যতম এক অভিযুক্ত শুভম মাহাতোর সঙ্গে প্রাক্তন আইসি অমরেন্দ্র সিং-এর ছবি রয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ধন্দ ৪. এই সব বিতর্কের মাঝে তদন্তের জোর বাড়তে থাকে। উঠে আসে KGF গ্যাঙের কথা। তার মধ্যে পুলিশ ধরপাকড় চলতে থাকে। কিন্তু প্রদীপকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। শেষমেশ শনিবার রাতে ভোটের শেষ দফার দিন শিলিগুড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় প্রদীপকে।