Balurghat: ৯২ দিনের লড়াই, ৬৯৫ গ্রাম ওজনের শিশুকে নিয়ে চ্যালেঞ্জে জয়ী চিকিৎসকরা
Balurghat: গত ৮ অক্টোবর প্রসব বেদনা নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন তপন থানার অন্তশিমূল এলাকার পার্বতী ওঁরাও। তৃতীয় সন্তানের প্রসবের সময় দেখা যায় সমস্যা। ২৬ সপ্তাহে হঠাৎই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
বালুরঘাট: ৬৯৫ গ্রাম ওজনের অপরিণত শিশুকে জীবন দান দিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। দীর্ঘ ৯২ দিন হাসপাতালের সিসিইউ থাকার পর শিশুটিকে ছুটি দিয়ে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তিন মাসে ওজন প্রায় এক কিলো বেড়েছে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের এমন সফলতায় খুশি বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ৮ অক্টোবর প্রসব বেদনা নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন তপন থানার অন্তশিমূল এলাকার পার্বতী ওঁরাও। তৃতীয় সন্তানের প্রসবের সময় দেখা যায় সমস্যা। ২৬ সপ্তাহে হঠাৎই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিনই এক অপরিণত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পার্বতী। জন্মের সময় শিশুর ওজন ছিল মাত্র ৬৯৫ গ্রাম। একজন স্বাভাবিক শিশু জন্মের সময় দুই কেজির বেশি ওজন থাকে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অপরিণত শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স থেকে অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এক রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেন। শিশুটিকে এসএনসিইউতে ভর্তি করে নিয়ে নেওয়া হয়। শিশুটির পাশাপাশি তার মাও শারীরিকভাবে খুব দুর্বল ছিল। তাঁকেও হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। এসএনসিউতে চিকিৎসাধীন ছিল মেয়ে। দীর্ঘ ৯২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শিশুর ওজন বর্তমানে এক কিলো ৬২০ গ্রামে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সে নিজে নিজে মায়ের বুকের দুধ খেতে পারছে। তাই আজ তাকে ছুটি দিয়ে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।