Minakshi Mukherjee: ‘এযাত্রায় পার পাবে না’, গাইঘাটা থেকে পুলিশ ও সরকারকে হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর
গাইঘাটার চাঁদপাড়া বিএম পল্লিতে সিপিএম যুব নেতা পার্থ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গেও কথা বললেন DYFI নেত্রী। তিনি পার্থর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং পার্থর মা-কে আশ্বাস দেন,
গাইঘাটা: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া গাইঘাটের দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গেলেন DYFI এর রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। দলীয় নেতাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকাও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশ ও রাজ্য সরকারের প্রতি বাম নেত্রীর হুঁশিয়ারি, “পুলিশ যতই চেষ্টা করুক সরকারকে আড়াল করার, এযাত্রায় পার পাবে না।”
জানা গিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ অভিযানে গিয়ে গাইঘাটা এলাকার ৭ সিপিএম যুব নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের সকলের বাড়িতে যান রাজ্য যুব বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। গাইঘাটার চাঁদপাড়া বিএম পল্লিতে সিপিএম যুব নেতা পার্থ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গেও কথা বললেন DYFI নেত্রী। তিনি পার্থর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং পার্থর মা-কে আশ্বাস দিলেন, তাঁর ছেলে দ্রুত বাড়িতে ফিরবেন। এরপর আরেক যুবনেতা কুণাল মজুমদারের বাড়িতেও যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁরও মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং সাহস ধরে রাখার বার্তা দিয়ে বাম যুব নেত্রী বলেন, “বৃহৎ পরিবার হিসাবে এই পরিবারগুলির পাশে থাকার জন্য আমরা এসেছি।”
পার্থ, কুণালের বাড়ি থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “সব পরিবারগুলি এককাট্টা হয়েছে। শুধু পরিবার নয়, যত গ্রামে গিয়েছি, আমরা দেখেছি, সব গ্রাম এককাট্টা হয়েছে। তাই পুলিশ যতই চেষ্টা করুক সরকারকে আড়াল করার, এযাত্রায় পুলিশও পার পাবে না। সরকারও পার পাবে না।” পার্থ, কুণালের মতো যুব নেতাদের লড়াই প্রসঙ্গে যুব নেত্রী আরও বলেন, “ছেলেরা লড়াই করতে গিয়েছে। আর পরিবার পাশে আছে, আমার মা পাশে আছে, মা ভয় পায়নি।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ অভিযানে গিয়ে গাইঘাটা এলাকার ৭ সিপিএম যুব নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা হলেন, চাঁদপাড়ার বাসিন্দা পার্থ সাহা, কুনাল মজুমদার, ডাকুরিয়ার ময়ূখ মণ্ডল, দিঘা এলাকার বিভাষ দাস, ঝাঊডাঙার সুকান্ত কর, বেড়ির শুভম বিশ্বাস এবং ভাড়াডাঙার শান্তনু সানা।