Jalpaiguri: মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দুর্গা প্রতিমাকে হোসপাইপ দিয়ে বিসর্জন দিল দমকল!

Durga Puja: দমকল আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া, "বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে এই ধরনের বিসর্জন হল। সম্ভবত এর আগে জলপাইগুড়িতে এভাবে ঠাকুর বিসর্জন হয়নি।''

Jalpaiguri: মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দুর্গা প্রতিমাকে হোসপাইপ দিয়ে বিসর্জন দিল দমকল!
হোসপাইপে দুর্গাপ্রতিমা গলিয়ে বিসর্জন দমকলের। (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 1:34 PM

জলপাইগুড়ি: মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিসর্জন হল ‘বড় মা’-র। হোসপাইপ দিয়ে জল দিয়ে দুর্গাকে বিসর্জন দিলেন দমকলকর্মীরা। এক অভিনব বিসর্জনের সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর।

এবার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উচ্চতা বিশিষ্ট দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে পুজো করেছে জলপাইগুড়ি মুহুরি পাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটি। কিন্তু পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি দুর্গাপুজো কমিটি। অবশেষে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হল বিসর্জন। তবে তা যেভাবে হল সেটাও অভিনব বটে। দমকল দফতরের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে রবিবার সকালে দুর্গা প্রতিমাকে হোসপাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে গলিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করলেন জলপাইগুড়ি দমকল বাহিনির কর্মীরা। অভিনব কায়দায় এই বিসর্জন দেখতে ক্লাব প্রাঙ্গনে উপচে পড়ে ভিড়।

এবার জলপাইগুড়ির এই পুজো ৭০ তম বর্ষে পা দিয়েছে। ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে ছিল মুহুরি পাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এটিই এবার জলপাইগুড়ি জেলার সবচেয়ে বড় মাপের দুর্গা প্রতিমা। তাই এই ক্লাবে এবারের থিম ছিলো “বড় মা”।

এদিকে পুজো শেষ হওয়ার পর প্রতিমা নিরঞ্জন দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা। এর পর তারা দমকল দফতরের দারস্থ হন। দমকল দফতর না করে দিলে তারা তৃণমুলের জলপাইগুড়ি জেলার বর্তমান জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ এবং তৃণমূলের জলপাইগুড়ি প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা SJDA চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে যান। এর পর এই দুই নেতা যোগাযোগ করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের সঙ্গে। এর পর সুজিত বোসের বিশেষ অনুমতিতে এই ব্যবস্থা হয়। তার পরেই এভাবে হল বিসর্জন।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুশান্ত সেনের কথায়, প্রতিবার আমরা নতুন নতুন থিম নিয়ে পুজো করি। প্রচুর মানুষ আসেন। এবারে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে ঘাটে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। তাই দমকল কর্মীরা এসে এইভাবে বিসর্জন দিলেন।

ক্লাবের সম্পাদক উত্তম বোস জানান, “এত বড় মাপের প্রতিমা বানিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এই শহরে না থাকায় বিসর্জন দিতে গিয়ে সত্যিই আমরা বিপাকে পড়ে যাই। এক বার ভাবা হয়েছিল প্রতিমাকে খণ্ড খণ্ড করে নিয়ে গিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে আপত্তি ওঠে। এর পর আমরা দমকল কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের জানিয়ে দেন এই কাজ তাদের প্রোটোকলে নেই। পরে আমরা তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা দু’জনেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুজিতবাবু সবকিছু শুনে তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা করে দেন। আমরা মন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কারণ, উনি এই উদ্যোগ না নিলে দেবীকে খণ্ড বিখণ্ড করে বিসর্জন দিতে হত।”

আর এমন অভিনব বিসর্জন নিয়ে দমকল আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া, “বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে এই ধরনের বিসর্জন হল। সম্ভবত এর আগে জলপাইগুড়িতে এভাবে ঠাকুর বিসর্জন হয়নি।”

আরও পড়ুন: Khardah: ‘কাজল সিনহার স্বপ্ন পূরণ করব’, প্রয়াত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর আশীর্বাদ নিলেন বিজেপি প্রার্থী!