Awareness Programme: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শঙ্কর, হাঙড় শিকার, চোরা কারবার রুখতে তৎপর বন দফতর
Awareness Programme: কড়া নজরদারির পরও গোপনে নির্বিচারে হাঙড়, কামট ও শঙ্কর মাছ শিকার করছে এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্যজীবী। এই অবৈধ চোরাকারবার রুখতে এবার তৎপর হল বন দফতর।
বকখালি: কড়া নজরদারির পরও গোপনে নির্বিচারে হাঙড়, কামট ও শঙ্কর মাছ শিকার করছে এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্যজীবী। তাদের ডানা, পাখনা কেটে শুকিয়ে মোটা দামে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবৈধ চোরাকারবার রুখতে এবার তৎপর হল বন দফতর। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে প্রচার নামলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকার বনকর্মীরা। সোমবার সকাল থেকে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের সচেতন করতে বিভিন্ন ঘাট ও মৎস্য বন্দরগুলোতে লাগাতার প্রচার চালানো হয়। এদিনের সচেতনতার প্রচারে যোগ দিয়েছিল এলাকার বাসিন্দা থেকে স্কুল পড়ুয়ারাও।
প্রসঙ্গত, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে হাঙড়, কামট ও শঙ্কর শিকার নিষিদ্ধ। তবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমুদ্র ও নদী থেকে নির্বিচারে চলছে হাঙড়, কামট, শঙ্কর মাছ শিকার চলছিল সুন্দরবন এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কয়েক দিন আগেই বনকর্মীরা বকখালি থেকে হাতেনাতে চার মৎস্যজীবীকে ধরে ফেলেন। পুনরায় যাতে এই আইন বিরুদ্ধ কাজ কেউ না করে,তাই মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে শুরু হল জোরদার প্রচার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন,’কোনও রকমের সামুদ্রিক প্রাণী হত্যা এবং হাঙড়, কামট,শঙ্কর মাছ ও কচ্ছপ শিকার বা মারার ঘটনায় কেউ যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী মৎস্যজীবীদের ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই অপরাধের জন্য ৭ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।’