RG Kar Case: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সরকারি হাসপাতালগুলি, সকাল থেকেই কাজে যোগ জুনিয়র ডাক্তারদের
RG Kar Case: সকাল থেকে একই ছবি দেখা গেল মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। তবে এখানের জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরলেও এখনই তাঁরা আউটডোর পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন না। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আংশিক এই কর্মবিরতি জারি থাকছে।
কণিষ্ক মাইতি, হীরক মুখোপাধ্যায় ও শুভোতোষ ভট্টাচার্য
বাঁকুড়া-মালদহ-তমলুক: কিছুটা হলেও কেটেছে জট। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে উঠেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা। দীর্ঘ ৩৪ দিন ধরে কর্মবিরতির পর অবশেষে শনিবার থেকে কাজে ফিরছেন কাজে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই একই ছবি। এদিনের সকালে কাজে যোগ দিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার চিকিৎসকরা। ডিউটি রোস্টার মেনে আপাতত জরুরি বিভাগে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। রোস্টার অনুযায়ী জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জুনিয়ার চিকিৎসকরা যুক্ত হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবা।
সকাল থেকে একই ছবি দেখা গেল মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। তবে এখানের জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরলেও এখনই তাঁরা আউটডোর পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন না। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আংশিক এই কর্মবিরতি জারি থাকছে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজেও ৩৪ দিন আগে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবায়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা প্রয়োজন অনুযায়ী অলিখিতভাবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হলেও লিখিতভাবে এদিন সকাল থেকে ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
এই খবরটিও পড়ুন
তাতেই কিছুটা হলেও সকাল থেকে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবার হাল বদলাতে শুরু করে। বাঁকুড়ার জুনিয়ার চিকিৎসকরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হলেও তাঁদেরও দাবি আন্দোলন থেকে তাঁরা সরে আসছেন না। অন্যদিকে রোগীর পরিজনেরাও চাইছেন চিকিৎসা পরিষেবা সচল রেখেই যেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান।
পূর্ব মেদিনীপুরেও একই ছবি। সব হাসপাতালেই জুনিয়র ডাক্তারেরা জরুরি পরিষেবায় যোগ দিলেন। ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন। তমলুকের জুনিয়র ডাক্তাররা জানাচ্ছএন এমারজেন্সি ডিউটি, এসএনসিইউ, শিশু বিভাগের পাশাপাশি তাঁরা বর্হি বিভাগেও ডিউটি শুরু করলেন। তবে কাজ শুরু করলেও বিচারের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকছে।