AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: টলে পড়ে গেলেন, ‘মদ্যপ’ ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরকে মারধর জনতার, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো

Drunk Traffic inspector beaten: ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরের মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করা নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, "সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শ্রীরামপুরের একজন ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিক মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন। এটা পুলিশ প্রশাসনের দেখা উচিত। বিশেষ করে ওই পুলিশ অফিসারের কাউন্সিলিং করা দরকার। যারা রক্ষক তাদেরই যদি এমন অবস্থা হয়, কাদের উপর ভরসা করবে মানুষ?"

Hooghly: টলে পড়ে গেলেন, 'মদ্যপ' ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরকে মারধর জনতার, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
মদ্যপ ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরকে মারধর, ভিডিয়ো ভাইরালImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2025 | 7:55 PM
Share

শ্রীরামপুর: পরনে উর্দি। ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। পড়েও গেলেন একবার। এক ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ তাঁকে মারধরও করেন। ঘটনাটি শ্রীরামপুরের। ওই মদ্যপ ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। পাশাপাশি মারধরের ঘটনার তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক।

ঘটনাটি দশমীর রাতের। গতকাল রাতে শ্রীরামপুর বটতলায় ডিউটি করছিলেন শ্রীরামপুরের ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর রাজেশ মণ্ডল। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না ওই ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর। টলে পড়ে যাচ্ছেন। অন্য এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী তাঁকে ধরে নিয়ে যান। উত্তেজিত জনতা এই দৃশ্য দেখে তাঁকে মারধর করেন।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় চন্দননগর পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মারধরের ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক।

ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টরের মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করা নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, “সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শ্রীরামপুরের একজন ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিক মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন। এটা পুলিশ প্রশাসনের দেখা উচিত। বিশেষ করে ওই পুলিশ অফিসারের কাউন্সিলিং করা দরকার। যারা রক্ষক তাদেরই যদি এমন অবস্থা হয় কাদের উপর ভরসা করবে মানুষ? একজন পুলিশকর্মীর জন্য গোটা পুলিশের বদনাম হয়।”

এসএফআইয়ের হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক অর্ণব দাস বলেন, “যারা আইনের রক্ষক, তারাই আইন ভাঙছে। পুলিশের উর্দি পরে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছে। এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে?”

সাধারণ মানুষকে আইন হাতে না তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা অধিকারী বলেন, “এত বড় একটা উৎসব পুলিশের জন্যই এত সুন্দরভাবে হয়েছে। কোনও মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়নি। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। একজন পুলিশকর্মীর জন্য গোটা পুলিশের বদনাম ঠিক নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পুলিশের উপর ভরসা রাখুন।”