Murder for Extramarital Affair: শাশুড়ির পরকীয়ায় বাধা জামাই, কাঁটা সরাতে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

Murder for Extramarital Affair: পুলিশ জানতে পারে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বাবুসোনার শাশুড়ি নিজে। বাবুসোনাকে খুন করে গা ঢাকা দেয় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ।

Murder for Extramarital Affair: শাশুড়ির পরকীয়ায় বাধা জামাই, কাঁটা সরাতে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে
ডান দিকে মৃত বাবুসোনা দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 10:43 PM

কোন্নগর: শাশুড়ির গোপন সম্পর্ক (Extramarital affair) জেনে গিয়েছিল জামাই। খুন (Murder) হতে হয়েছিল শাশুড়ির প্রেমিকের হাতে। কিছুদিন আগে শাশুড়ি গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না অভিযুক্ত যুবকের। অবশেষে ঘটনার দেড় মাস পর ২১ মে কোন্নগর (Konnagar) আর্দশ নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে ওই যুবককে। আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? এর জন্য ফিরে যেতে হবে এপ্রিলে। কোন্নগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আদতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা বাবুসোনা দাস (৩০)। এখান থেকেই কাজ করতেন। সূত্রের খবর, শাশুড়ির সঙ্গে বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৩৫) নামে এক যুবকের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের কথা কিছুদিন আগে জানতে পেরেছিলেন বাবুসোনা। তারপর দুজনের মধ্যে এ বিষয়ে ঝামেলাও হয়। প্রায়শই বাড়িতে চলে থাকে অশান্তি। শাশুড়িকে বিশ্বজিতের সঙ্গে দেখা করতে নিষেধও করেন বাবুসোনা। 

এরইমধ্যে একদিন ওই যুবকের সঙ্গে শাশুড়িকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান বাবুসোনা। তারপরই দেখা যায় কোন্নগরের নবগ্রামে গত ৮ এপ্রিল শ্বশুরবাড়ির উঠনে খুন হয়ে যান জামাই বাবুসোনা দাস। সন্দেহের তীর যায় শাশুড়ি ও তার প্রেমিকের দিকে। যদিও পুলিশি জেরায় ওই মহিলা কিছুই স্বীকার করেননি। ১৫ মে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী তথা বাবুসোনার শ্বশুর ভুবন দাসকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।  চলতে থাকে জেরা। লাগাতার জেরার মুখেই শেষে ভেঙে পড়েন দুজনে। সামনে আনেন বিশ্বজিতের নাম।

পুলিশ জানতে পারে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বাবুসোনার শাশুড়ি নিজে। বাবুসোনাকে খুন করে গা ঢাকা দেয় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। অবশেষে ২১ মে কোন্নগর আর্দশ নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বজিত মণ্ডল আদতে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকার কাশিপুরের বাসিন্দা। কোন্নগরের আর্দশ নগরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো। কাজ করত এলাকার একটি মুরগির দোকানে। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় বিশ্বজিৎ স্বীকার করেছে গত তিন বছর ধরে বাবুসোনার শাশুড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। কাজে যাওয়ার নাম করে বিশ্বজিতের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। ইতিমধ্যে বিশ্বজিৎকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।