Hooghly : দেখে কে বলবে এটা রাস্তা, বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বাঁধ ভাঙার ‘আশঙ্কা’

Hooghly : এমনিতেই বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠে দামোদর। বাঁধ উপছে প্লাবিত হয় বেশ কিছু গ্রাম। এবার যদি বাঁধ ভাঙে তাহলে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও জমির ফসল নষ্ট হবে। তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Hooghly : দেখে কে বলবে এটা রাস্তা, বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বাঁধ ভাঙার 'আশঙ্কা'
বেহাল দশা রাস্তার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 9:09 PM

হুগলি : বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের রাস্তা। অন্যদিকে ভারী বর্ষণে নদীর জল বাড়লে, বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা। বেহাল রাস্তা আর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা থেকেই হুগলির পুরশুড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বালি খাদানের এক মালিকের দাবি, অনুমতি নিয়ে বালি তুলছেন। সেখানেই একাধিক প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কার অনুমতিতে উঠছে বালি? কীভাবে বর্ষার সময় মেশিন দিয়ে বালি তোলার অনুমতি দিলেন? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, অনুমতি নিয়ে নয়, পুলিশের মদতেই চলছে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য।

পুরশুড়ার তারিখানা গ্রামে গেলেই দেখা যাবে দামোদর নদীর পাড়ে ডাম্পারে বালি তোলা হচ্ছে। আর তা গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। আর বালি ভর্তি গাড়ি যাওয়ার কারণে গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। সেই নিয়ে বেশ কয়েক দফায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নদী থেকে উন্নত মানের মেশিন দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালি মজুত করা হয়। এই ভাবে বালি তোলায় মাটি ধসে গিয়ে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এমনিতেই বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠে দামোদর। বাঁধ উপছে প্লাবিত হয় বেশ কিছু গ্রাম। এবার যদি বাঁধ ভাঙে তাহলে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও জমির ফসল নষ্ট হবে। তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। অনুপম চট্টোপাধ্যায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পুলিশের নাকের ডগায় অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

Sand Smuggling

বালিবোঝাই গাড়ি চলাচলের জন্য বেহাল দশা রাস্তার

এভাবে বালি তোলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুরশুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোমিন মেদ্দাও। তাঁর বক্তব্য, এভাবে বালি তোলা আপত্তিকর বিষয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। অবৈধ ভাবে বালি তোলায় পুলিশের মদত রয়েছে বলে তিনিও অভিযোগ করেন। তবে এক বালি খাদানের মালিক দাবি করেন, সরকারি আধিকারিকেদের অনুমোদন নিয়েই বালি তোলা হচ্ছে। তাঁরা অবৈধ ভাবে বালি তুলছেন না।

আরামবাগের মহকুমা শাসক হাসিন জাহেরা রেজভি বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভূমি বিভাগের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে।