Arambagh School: বাথরুমে গেলে প্রমাণ দিতে হবে শিশুদের, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ
Arambagh School: স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপরেও একনায়কতন্ত্র চালানো হয় বলে অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দনা ভূঁইয়ের বিরুদ্ধে।

আরামবাগ: প্রধান শিক্ষিকার ইচ্ছায় খেতে হবে জল! ছোট্ট শিশুরা বাথরুমে যেতে গেলেও প্রধান শিক্ষিকার সামনে প্রমাণ দিতে হবে। কথার অবাধ্য হলেই জুটবে মারধর। বাড়ির লোক প্রতিবাদ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না স্কুলে। এমনই অভিযোগ উঠল হুগলির গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের বেঙ্গাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সামন্তখণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে স্কুল শিক্ষা দফতর। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ক্যামেরার সামনেই এলেন না।
একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে পরিদর্শন করা হয় স্কুল। সঙ্গে যায় পুলিশ। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সামনে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই প্রধান শিক্ষিকার ভয়ে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চাইছে না। আরও অভিযোগ, তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে বাড়িতে কোনও কথা না বলা হয়।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ছাত্র প্রধান শিক্ষিকার মার খেয়ে চিকিৎসারতও ছিলেন। এমনকী স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপরেও একনায়কতন্ত্র চালানো হয় বলে অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দনা ভূঁইয়ের বিরুদ্ধে।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের ওই স্কুল থেকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি করেছেন। পরিদর্শনকারী দল পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর পুনরায় বিদ্যালয়ে যান এবং বেশ কিছু নথি ও একটি লাঠির বান্ডিল বাজেয়াপ্ত করেন।
এই প্রসঙ্গে স্কুলের সাব ইন্সপেক্টর রাজীব দে বলেন, মারধরের ঘটনায় কিছুটা সত্যতা রয়েছে। তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। অপরদিকে গ্রামবাসীদের দাবি ওই প্রধান শিক্ষিকাকে কোনওভাবেই তারা আর গ্রামের স্কুলে মেনে নেবেন না।
