AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: স্কুলে বেশি দিদিমণি নেই, তাই ক্লাস টু-এর ক্লাস নিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

School: অভিভাবক থেকে সহকারি শিক্ষিকা পর্যন্ত বলছেন মিড ডে মিলে পুষ্টির কোনও বালাই নেই। কোনও মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ডিম জোটে আবার কোনও মাসে ডিমও জোটে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দিনই মাংস দেওয়া হয়নি।

School: স্কুলে বেশি দিদিমণি নেই, তাই ক্লাস টু-এর ক্লাস নিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
গোঘাটের স্কুলের অবস্থাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2023 | 7:43 AM
Share

গোঘাট: মিড-ডে মিলে টিকটিকি, কিংবা পাঁচিল ভেঙে পড়া, অথবা ছোট-ছোট শিশুদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কারের খবর তো পড়েছেন। আর এবার শিক্ষিকা নেই বলে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের দিয়েই প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে।

ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাট ২ নম্বর বিডিও অফিস থেকে মাত্র দুই কিমি দূরে। সেখানে মান্দারণ দাসপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি হিসাব মতো মোট ১০৫ জন পড়ুয়া সেখানে পড়াশোনা করে। তবে শিক্ষিকা রয়েছেন একজন। আর প্রধান শিক্ষিকা থাকলেও তিনি বাইরের কাজ নিয়েই মূলত ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ। তিনি মাসে মাত্র একদিন বিদ্যালয়ে আসেন। তাই কোনও রকমে টেনেটুনে চলছে এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি। অভিভাবক থেকে সহকারি শিক্ষিকা পর্যন্ত বলছেন মিড ডে মিলে পুষ্টির কোনও বালাই নেই। কোনও মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ডিম জোটে আবার কোনও মাসে ডিমও জোটে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দিনই মাংস দেওয়া হয়নি।

সরকারি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে দুইজন শিক্ষিকা থাকলেও বেশিরভাগ দিন একজন অর্থাৎ প্রধান শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকেন। একজন শিক্ষিকা কোনও রকমে ছাত্র-ছাত্রী পড়ান। বেশিরভাগ দিনে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে নিম্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হয়। ওই সহকারী শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের আয়োজন করে তারপর ক্লাস নেন। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পারভিন খাতুন বলল, আমাদের স্কুলে বেশি দিদিমণি নেই তাই আমি ক্লাস টু-এর ক্লাস করাচ্ছি। ওদের বাংলা পড়াচ্ছি।”সহকারি শিক্ষিকা শ্যামলী রায় বলেন, “আমরা দুজন স্টাফ। এরপর রান্নার ব্যবস্থা করতে হয়। আমি একা। ক্লাস নিতে-নিতে যে দিন অসুবিধা হয় তখন চতুর্থ শ্রেণির যে পড়ুয়া তাঁকে বলি একটু নিচু ক্লাসের পড়া ধরতে।”

এই নিয়ে গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও কুন্তল কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিল সহ অন্যান্য কাজে বাইরে যেতে হয়। তিনি বিষয়টি জানেন।