আজই ছিল ডেডলাইন, তার আগে টাকা দিয়ে কোনও ক্রমে ঠেকালেন মমতা
Hooghly: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবারই ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ফোন করেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। আধিকারিক জলি চৌধুরীকে পাঠান।
চুঁচুড়া: তিন কোটি টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা দিয়েই চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দুমাসের বেতন দেওয়া হবে। পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। রাজ্য সরকারের এই টাকা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছে। পরে তা শোধ করতে হবে। পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হবে জানুয়ারি মাসে, আর সেটা পুরসভাকেই দিতে হবে।
পুরসভাকে আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আন্দোলনকারী সাত জন প্রতিনিধির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করে এ কথা জানান বিধায়ক। বিধায়ক আরও বলেন, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের মাসে বেতন দিতে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়, অথচ পুরসভার আয় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকার সংস্থান করতে না পারায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কর্মীরা শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবারই ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ফোন করেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। আধিকারিক জলি চৌধুরীকে পাঠান। তিন কোটি টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে যা দিয়ে দু মাসের বেতন কর্মচারীদের দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা আমরা পাইনি।এখন একটা ফান্ডের টাকা আর একটা ফান্ডে ব্যবহার করা যায় না। পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তাই বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি দু মাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আগামী মাসের বেতনের ব্যবস্থা পুরসভাকেই করতে হবে তার জন্য আমরা আলোচনা করছি, কীভাবে আয় বাড়ানো যায় দেখছি।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে রাধেশ্যাম শঙ্খ বনিক বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যে আমাদের দু’মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। আমাদের যারা আন্দোলনকারী শ্রমিক কর্মচারী তাঁরা আজ থেকেই কাজ শুরু করবেন। সামনেই বড়দিনের উৎসব। ব্যান্ডেল চার্চে বহু মানুষ আসেন। তাই শহর অপরিচ্ছন্ন থাকুক সেটা আমরা চাই না।
পুরসভার গেটে শ্রমিক কর্মচারীদের অবস্থান মঞ্চে এসে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলেন চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক। তারপরই বিধায়ক ও চেয়ারম্যান প্রতীকী জঞ্জাল সাফাই-এর কাজ শুরু করেন।সাফাই কর্মিরা নর্দমা পরিষ্কার জঞ্জাল তোলার কাজ শুরু করে দেন।