Migratory Birds: আর আসছে না ওরা, দূষণই দোষী?
Migratory Birds: কলেজ কর্তৃপক্ষর ধারণা নগরায়নের ফলে ওই দিঘির চারপাশে দ্রুত গড়ে উঠছে বড় বড় বাড়ি। পাশ দিয়ে যাওয়া ৬০ এ জাতীয় সড়ক ও বাঁকুড়া পুয়াবাগান রাস্তাতেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা। ফলে এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কোলাহল।
বাঁকুড়া: শীতকাল এলেই দেখা মেলে ওদের। গত এক দশক ধরে শীতকাল এলেই হাজারে হাজারে পরিযায়ী পাখি উড়ে আসে বাঁকুড়া উন্নয়নী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দিঘিতে। শীতের মাস কয়েক কাটিয়ে সেই পাখির দল আবার ফিরে যায় নিজের নিজের দেশে। এবার পাখিদের সেই আস্তানাতেই এবার আশঙ্কার কালো মেঘ। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দিঘিতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান দূষণ ও কোলাহলেই কী নিরাপদ এই আস্তানা থেকে মুখ ফেরাচ্ছে পাখির দল? উত্তর খুঁজছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া পুয়াবাগান এলাকার উন্নয়নী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিতরেই রয়েছে সবুজে ঘেরা বিশাল দিঘি। গত এক দশক ধরে শীতকাল এলেই সেই দিঘিতে উড়ে আসে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। পাখিদের কলতানে ভরে ওঠে চারিদিক। পাখিদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে কলেজ কর্তৃপক্ষও। চোরা শিকারীদের নজর এড়াতে দিঘিতে বৃদ্ধি করা হয় নজরদারি। নিরাপদ আশ্রয় বুঝে প্রতি বছরই একটু একটু করে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু, চলতি বছর কার্যত উলটপূরাণ। শীতের শুরুতেই পরিযায়ী পাখির দল জলাশয়ে এলেও তার সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কিন্তু কেন এমনটা হল?
এই খবরটিও পড়ুন
কলেজ কর্তৃপক্ষর ধারণা নগরায়নের ফলে ওই দিঘির চারপাশে দ্রুত গড়ে উঠছে বড় বড় বাড়ি। পাশ দিয়ে যাওয়া ৬০ এ জাতীয় সড়ক ও বাঁকুড়া পুয়াবাগান রাস্তাতেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা। ফলে এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কোলাহল। অন্যদিকে জলাশয়টি কচুরিপানায় ঢাকা পড়ে যাওয়ায় জলাশয়ের জল দূষিত হচ্ছে। আর এসব কিছুরই প্রভাব পড়ছে পাখির সংখ্যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষর দাবি, দ্রুত জলাশয় সংস্কার করে দূষণের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। পাখিরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে তার সব আয়োজন করার চেষ্টাও চলছে। কিন্তু তারপরেও কী কলেজের জলাশয়ে আদৌ ফিরবে পাখির দল? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে কলেজ পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকেরা।