AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder Case: জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে কুড়ুল দিয়ে কাটা হয়েছিল বৃদ্ধকে, তিন বছরের মাথায় চরম পরিণতি অভিযুক্তের

Murder Case: আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার উপরডাঙা গ্রামে সব্যসাচী রায়ের সঙ্গে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল হরিপদ রায়ের পরিবারের। দু’ক্ষের এই বিবাদ শুনে ২০২১ সালের ১১ অগস্ট দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে তা মেটাতে যান হরিপদ রায় নামের স্থানীয় এক বৃদ্ধ। কিন্তু, তারই মধ্যে ঘটে যায় এই ঘটনা।

Murder Case: জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে কুড়ুল দিয়ে কাটা হয়েছিল বৃদ্ধকে, তিন বছরের মাথায় চরম পরিণতি অভিযুক্তের
প্রতীকী ছবি Image Credit: Getty Images
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2024 | 5:45 PM
Share

বাঁকুড়া: জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে গিয়ে ২০২১ সালে খুন হয়েছিলেন বাঁকুড়ার উপরডাঙা গ্রামের তারাপদ রায়। সেই খুনের ঘটনার তিন বছরের মাথায় মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের রায়ে খুশি মৃতের পরিবার। 

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার উপরডাঙা গ্রামে সব্যসাচী রায়ের সঙ্গে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল হরিপদ রায়ের পরিবারের। দু’ক্ষের এই বিবাদ শুনে ২০২১ সালের ১১ অগস্ট দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে তা মেটাতে যান হরিপদ রায় নামের স্থানীয় এক বৃদ্ধ। এই সময় আচমকাই হরিপদ রায় ও তাঁর ছেলে সুশান্ত রায়ের সঙ্গে বচসা হয় তারাপদ রায়ের। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন সুশান্ত রায় পিছন থেকে হাতে কুড়ুল নিয়ে আক্রমণ করে তারাপদ রায়কে। কুড়ুলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তারাপদ রায়। পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

সুশান্ত রায় ও হরিপদ রায়ের নামে ছাতনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার ৩ মাসের মধ্যে ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্যর ভিত্তিতে বিচার চলতে থাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালত সুশান্ত রায় ও তাঁর বাবা হরিপদ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন মূল অভিযুক্ত সুশান্ত রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ। তাঁর বাবা হরিপদ রায়কে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।