Hooghly: ভোটার তালিকায় দু’জায়গায় নাম তৃণমূল নেতার, খোঁচা শুভেন্দুর
Hooghly: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্য়মে এই বিষয়টি ইস্যু করেছে। তাঁর দাবি, বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও দুটো করে নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়।

হুগলি: ভোটার তালিকায় দু’জায়গায় নাম তৃণমূল নেতার! কবিরুল আলম ডানকুনি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আবার ডানকুনি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তার দুটি বুথে নাম রয়েছে। একটি ২০ নম্বর ওয়ার্ডে, একটি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বুথ নম্বর যথাক্রমে ২৯১ ও ২৯৭।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্য়মে এই বিষয়টি ইস্যু করেছে। তাঁর দাবি, বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও দুটো করে নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। বিরোধী দলনেতা তাঁর সমাজমাধ্যমে কবিরুল আলমের দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম-ছবি-সহ দিয়ে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার মৃত ভোটার, বাংলাদেশি ভোটার, রোহিঙ্গা ভোটারের ছড়াছড়ি।” SIR শুরু হলে বাংলার ভোটার তালিকা থেকে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে বলেও সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডানকুনি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর কবিরুল আলম জানান, তাঁর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে ডানকুনির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডেও তাঁর আরেকটি বাড়ি রয়েছে। তিনি থাকেন ডানকুনি স্টেশনের বিপরীতে একটি আবাসনে, যেটি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।
কবিরুল আলমের স্ত্রী জাহেদুন্নেসা ২০১৫-২২ সাল পর্যন্ত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।২০২২ সালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর হন কবিরুল আলম।
তিনি বলেন, “১৯৪ চণ্ডীতলা বিধানসভা ডানকুনির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আমার বাবা ,আমার দাদা এখনও থাকেন। সেখানে ইলেকট্রিক মিটারটা আমার নামেই রয়েছে।পরবর্তীকালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মৃগালায় আমি জমি কিনি। আমি যেখানকার বর্তমান কাউন্সিলর। ডানকুনি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি।”
তিনি বলেন, “আমি মৃত নই, বাংলাদেশি রোহিঙ্গা নই। আমি পিওর ইন্ডিয়ান। বাঙালি।” যদিও তিনি বলেছেন, “আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের লিঙ্ক থাকে।তাই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমি যখন নাম তুলি, স্বাভাবিকভাবেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নাম কেটে যাওয়া উচিত ছিল। কেন কাটেনি তা জানি না। তবে আমি এবার আবেদন করব নাম বাদ দেওয়ার জন্য।”

