Sand Mining: নদীর বাঁকে অবৈধ বালি লুট, বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে আশপাশের গ্রামে

Goghat: নদীর বাঁকা পথে অবৈধ বালি খাদান থেকে বালি লুটের ছবি ধরা পরল tv9 বাংলার ক্যামেরায়। হুগলি জেলার আরামবাদ মহকুমা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর উপর এ ভাবে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Sand Mining: নদীর বাঁকে অবৈধ বালি লুট, বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে আশপাশের গ্রামে
অবৈধ বালি খনন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 9:44 AM

আরামবাগ: বৈধ বালি খাদানের চালান নিয়ে চলছে অবৈধ ভাবে বালি তোলার কাজ। দিনের পর দিন চলছে এই অনিয়ম। অপরিকল্পিত এই খননের জেরে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বেআইনি বালি খাদানের প্রতিবাদও করেছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাতে কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ। নির্বিকার থাকার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। নদীর বাঁকা পথে অবৈধ বালি খাদান থেকে বালি লুটের ছবি ধরা পরল tv9 বাংলার ক্যামেরায়। হুগলি জেলার আরামবাদ মহকুমা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর উপর এ ভাবে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অবৈধ বালি খননের অভিযোগে আরামবাগের গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরপাড়া, রাধা বাজার, পোড়াবাগান প্রভৃতি গ্রামের মানুষজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোমবার প্রতিবাদ জানান। রাস্তা আটকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বালি তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বৈধ বালি খাদানের বালি শেষে বেরিয়ে পড়েছে নদীর তলদেশের মাটি। তাই বালির কারবারিরা নদীর বাঁক এলাকায় গিয়ে বালি তোলা শুরু করে দিয়েছেন। এ রকম অবৈধ ভাবেই দারকেশ্বর নদীর বাঁক পথে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে। দ্বারকেশ্বর নদীর এই বাঁকের যে এলাকার থেকে বালি তোলা হচ্ছে, তার পূর্ব দিকে আরামবাগ থানা। পশ্চিম দিকে গোঘাট থানা এলাকা। আবার নদীর উত্তর দিক পড়ে বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানা এলাকার মধ্যে। বিভিন্ন থানার সংযুক্ত এলাকার ফায়দা লুটছেন অবৈধ কারবারিরা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এখানে দিন রাত চলছে বালি চুরি। আর এমন ভাবে বালি কেটে নেওয়া হচ্ছে যে নদীর তলদেশের মাটি বেরিয়ে পড়ছে। নদীর বাঁধের ধার থেকেই কোথাও ৩০-৪০ ফুট গর্ত করে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগে ৫টি বৈধ বালিখাদান ও গোঘাটে ১টি বৈধ বালি খাদান আছে। আরামবাগে দারকেশ্বর নদীতে মোমিনপুর মৌজায় কোন বৈধ বালি খাদান নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখান থেকে কী ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। কাদের মদতে দিনের পর দিন চলছে প্রকাশ্যে বালিচুরি? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে।

গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরপাড়া, রাধা বাজার, পোড়াবাগান প্রভৃতি গ্রামের মানুষজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোমবার ভোট থেকেই বালিখাদের রাস্তা আটকে প্রতিবাদ জানিযয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, যেভাবে বেআইনিভাবে বালি কেটে নেওয়া হচ্ছে আগামী দিনে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হবেন গ্রামবাসীরা। আর এ ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে গ্রামের পর গ্রাম। প্রশাসনে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ তাঁদের। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা বলেছেন, “এই মৌজায় কোনও খাদান নেই। অন্যায় করেই বালি তোলা হচ্ছে। আমরা বাধা দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমরা একত্রিক হয়ে প্রতিবাদ করছি। এ ভাবে বালি তোলা বন্ধ না হলে গ্রাম শেষ হয়ে যাবে বন্যায়। এ বন্ধ হওয়া দরকার।” বিষয়টি নিয়ে আরামবাগ মহকুমা ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।