TMC Infights: ‘কল্যাণ মঞ্চে উঠতে দেননি!’ এবার বিস্ফোরক তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ

TMC: বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু মঞ্চে উঠছিলেন না। কেন তিনি মঞ্চে উঠছেন না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই কার্যত ফুঁসে উঠলেন আরামবাগের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ। সরাসরি নাম ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

TMC Infights: 'কল্যাণ মঞ্চে উঠতে দেননি!' এবার বিস্ফোরক তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ
অপরূপা পোদ্দার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2024 | 6:06 PM

আরামবাগ: এবার তৃণমূলের সভামঞ্চে খোদ বিদায়ী সাংসদকেই উঠতে না দেওয়ার অভিযোগ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বুধবার আরামবাগের কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগের সমর্থনে জনসভা করতে এসেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তার আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় দেখা যায় বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু মঞ্চে উঠছিলেন না। কেন তিনি মঞ্চে উঠছেন না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই কার্যত ফুঁসে উঠলেন আরামবাগের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ। সরাসরি নাম ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। অপরূপা বলেন, “সব তো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় মঞ্চে উঠতে দেননি। তিনি তফসিলি, দলিত, সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে। আমি এখনও দলের দু’বারের সাংসদ।”

লোকসভা ভোটে এবার টিকিট পাননি অপরূপা। তাঁর বদলে ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে আরামবাগে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে মিতালী বাগের নাম। আর এবার মিতালীর সমর্থন তৃণমূল সুপ্রিমোর জনসভার মঞ্চে খোদ বিদায়ী সাংসদকেই উঠতে না দেওয়ার অভিযোগ কল্যাণের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এর আগে নিজের লোকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুরের প্রচার পর্বে দলেরই তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কল্য়াণ। সেই নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিদায়ী সাংসদ অপরূপা অভিযোগ তুললেন কল্যাণের বিরুদ্ধে।

এদিন অপরূপার বিস্ফোরক অভিযোগ শুনে পাল্টা দিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থীও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অবশ্য বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এসব বলছেন অপরূপা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী একজন এসে অরূপ বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করল, উনি এসেছেন… তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে কি না। অরূপ বিশ্বাস তো কার সঙ্গে কথা বলে বললেন, না উনি আসতে পারবেন না। আমার এতে কী আসে যায়! আমার উপর ওঁদের ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে, তাতে আমার কিছু করার নেই।”

অপরূপা যে ‘তফসিলি-সংখ্যালঘু বিরোধী’ বলে কল্যাণকে আক্রমণ করেছেন, সেই নিয়েও পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বক্তব্য, “তফসিলি, সংখ্যালঘু… এসব আমার বিরুদ্ধে বলে কোনও লাভ নেই। সহানভূতি পাওয়ার জন্য যারা এসব বলে, তারা সস্তার কথা বলে। তফসিলি ও সংখ্যালঘুদের জন্য আমি কী করি, সেটা আমার ভোটাররা জানেন। এঁরা ব্যক্তিগত রাগ মেটাচ্ছেন।”

আরামবাগের বিদায়ী সাংসদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের সঙ্গেও। কারও নাম না করে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, “প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত, তৃণমূলে যতক্ষণ আছেন… নিজেকে যত বড় নেতাই ভাবুন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ছবিটা সরে গেলে তিনি শূন্য। এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়, অভ্যন্তরীণভাবেই মিটিয়ে নেওয়াই কাম্য।”