Chandannagar: পোষ্যপ্রেমী পরিচয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট অভিযুক্তের
Crime against Women: দুই জনের মধ্যে পছন্দের মিল থাকায় মনের মিল হতেও দেরি হয়নি। বাড়িতে কুকুরগুলি দেখভালের জন্য একজনকে দরকার, সেই কারণে যুবককে চন্দননগরে ডেকে নিয়ে আসে যুবতী।
চন্দননগর: যুবতী পেশায় গায়িকা। কুকুর খুব পছন্দ করেন। বাড়িতে ৩০টিরও বেশি কুকুর রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের বাসিন্দা এক বছর পঁচিশের যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ফেসবুকে। যুবক জানায়, তার মামার বাড়ি হুগলিতে। নৈনিতালে এক হোটেলে কাজ করত। লকডাউনে কাজ হারিয়েছে। সেও নিজেকে পোষ্যপ্রেমী বলে পরিচয় দেয় যুবতীর কাছে। ফেসবুকে বেশ কিছুদিন কথা হতে থাকে এভাবেই। দুই জনের মধ্যে পছন্দের মিল থাকায় মনের মিল হতেও দেরি হয়নি। বাড়িতে কুকুরগুলি দেখভালের জন্য একজনকে দরকার, সেই কারণে যুবককে চন্দননগরে ডেকে নিয়ে আসে যুবতী।
যুবতীর কথা শুনে মাস চারেক আগে ওই যুবক চলে আসে চন্দননগরে। পেশায় গায়িকা ওই যুবতীর বাড়িতে তাঁর মা থাকেন। যুবকের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয়ের পর যুবতীর মা বেশ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের বিয়ের কথাবার্তাও এগোয়। এমনকী ওই যুবকের জন্য একটি রেস্তঁরা খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হয়। সেই মতো টাকাও জমানো হচ্ছিল। প্রায় ৬৫ হাজার টাকা রাখা ছিল। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সহবাসও হয় তাদের। যুবতী একবার সন্তানসম্ভবাও হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে এবং তারপর যুবক তাঁর গর্ভপাত করিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পর থেকেই উভয়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
যুবতীর অভিযোগ, মে মাসের আট তারিখ চন্দননগরে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন যুবকের বাবা-মা এবং এক মামা। যুবতীর উপর রীতিমতো চড়াও হন তাঁরা। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এর ঠিক এক মাস পর ৮ জুন, ওই যুবতীর গহনা এবং হাতের সামনে যা টাকা ছিল, সেই সব নিয়ে পালিয়ে যায় যুবক। এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রথমে চন্দননগর থানায় এবং পরে চন্দননদর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের হস্তক্ষেপে এফআইআর দায়ের হয়েছে বটে, কিন্তু মামলা সেভাবে এগোয়নি বলেই অভিযোগ যুবতীর। এমন পরিস্থিতে, বৃহস্পতি চুঁচুড়া পুলিশ লাইন্সে ডিসি হেডকোয়ার্টার নিধি রানীর সঙ্গে দেখা করেন যুবতী। ডিসি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনার তদন্ত হবে। যুবতীর অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।