ডানকুনি: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বছর দেড়েক বাকি। কিন্তু, ছাব্বিশের নির্বাচনে বিরোধীরা কেমন ফল করবে, তা এখন থেকেই বলে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ডানকুনিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের পর কোনও বিরোধী দলনেতা থাকবে না। কোনও বিরোধী দল ৩০টি আসন পাবে না বলে চ্যালেঞ্জ জানালেন তিনি।
এদিন ডানকুনি পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাম্প হাউস-সহ একাধিক ঢালাই রাস্তার উদ্বোধন করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে সিপিএম, বিজেপিকে তিনি নিশানা করেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম কোনও আসন পায়নি। তা নিয়ে খোঁচা দিয়ে কল্যাণ বলেন, “সিপিএম মরা দলে পরিণত হয়েছে। ডাক্তারদের নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।”
গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। ওই ৬টি আসনে ফলাফল কী হবে? কল্যাণ বলেন, “বিজেপি, সিপিএম বলে কিছু নেই। ছটি আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরোলে দেখবেন বিজেপি, সিপিএম নেই। আর ছাব্বিশ সালে পশ্চিমবঙ্গে কোনও বিরোধী দলনেতা হবে না।” প্রসঙ্গত, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেতে মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। বাংলায় মোট আসন ২৯৪। কোনও বিরোধী দল ৩০টি পেলেই তবে সেই দলের বিধানসভার দলনেতা বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পান। কল্যাণ এদিন বলেন, ” লিখে রাখুন, ৩০টা আসন কোনও বিরোধী দল পাবে না।”
কলকাতায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের চেষ্টায় বিজেপি, সিপিএমের হাত আছে দাবি করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ট্যাব জালিয়াতি নিয়ে গতকাল চণ্ডীতলায় দলীয় কর্মসূচি থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, “বাংলায় জামতাড়া গ্যাং তৈরি করেছে তৃণমূল।” তারই পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বলেন, “সেলিমের কথার কোনও অর্থ নেই। ওদের কেলেঙ্কারির কোনও শেষ নেই।”