Hooghly: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থানকে পর্যটন কেন্দ্রের তকমা দিল রাজ্য

Hooghly: জানা গিয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য দেবানন্দপুর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ ধার্য্য করা হয়েছে। মূলত, রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে দেবানন্দপুরে শরৎ চন্দ্রের জন্মস্থানে গড়ে তোলা হবে দু'টি তোরণ।

Hooghly: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থানকে পর্যটন কেন্দ্রের তকমা দিল রাজ্য
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থানকে পর্যটন কেন্দ্রের তকমা দিল রাজ্যImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2023 | 7:08 AM

হুগলি: ১৮৭৬ সালে হুগলির দেবানন্দপুর গ্রামে জন্ম হয়েছিল কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। অবশেষে তাঁর জন্মস্থানকে পর্যটন কেন্দ্রের তকমা দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেবানন্দপুর শরৎচন্দ্র স্মৃতি মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্য পর্যটন দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের তরফে এই ঘোষণা করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়ক জানান, মন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই তিনি এই ঘোষণা করেছেন।

জানা গিয়েছে, কথা শিল্পীর জন্মভিটে সংস্কার কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য দেবানন্দপুর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করবে। মূলত, রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে দেবানন্দপুরে শরৎ চন্দ্রের জন্মস্থানে গড়ে তোলা হবে দু’টি তোরণ। সংস্কার করা হবে শরৎচন্দ্রের বাল্যকালের পেয়ারী পণ্ডিতের পাঠশালা। একইসঙ্গে সংস্কার করা হবে সংগ্রহ শালা। শিব মন্দির। জোড়া মন্দির সংলগ্ন এলাকার প্রাচীর নির্মাণ।

আরও জানা গিয়েছে, সংস্কার করা হবে স্মৃতি মন্দির চত্ত্বরে থাকা কথা শিল্পী শরৎচন্দ্রের মূর্তি। একই সঙ্গে সংস্কার করা হবে সেমিনার হল এবং স্মৃতি মন্দির। পর্যটন কেন্দ্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে দেবানন্দপুর চত্ত্বরে থাকা কথা শিল্পীর ছোট বড় যাবতীয় স্মৃতি। ঢেলে সাজানো হবে সমগ্র দেবানন্দপুরকে। গড়ে তোলা হবে অত্যাধুনিক অতিথি নিবাস এবং ক্যান্টিন।

উল্লেখ্য, গতকাল হুগলি জেলা পরিষদ, রাজ্য বাংলা অ্যাকাডেমি এবং জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে এবং চুঁচুড়া মগড়া পঞ্চায়েত সমিতি ও দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় পালন করা হয় কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১০৮ তম জন্মদিবস। যেখানে কথা শিল্পী জন্ম গ্রহণ করেছেন, সেই গ্রাম,জন্ম ভিটে থেকে পাঠশালা সহ নানা স্মৃতি গুরুত্ব হারাতে বসেছিল। ইতিপূর্বে একাধিকবার বিষয়টি তিনি রাজ্য বিধানসভায় উত্থাপিত হয়েছে। অবশেষে এদিন হুগলি বাসীর সেই কাঙ্খিত দাবি পূরণ হল।