AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Accident: নয় বছর আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু মায়ের, এবার বছর আঠারোর ছেলেরও একই পরিণতি

Hooghly: হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেনে উঠেছিল কৌলিকরা। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত আর যাওয়া হল না। তার আগেই সব শেষ।

Accident: নয় বছর আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু মায়ের, এবার বছর আঠারোর ছেলেরও একই পরিণতি
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 12:01 AM
Share

পাণ্ডুয়া: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সবে শেষ হয়েছে। আর এই ফাঁকেই পরিবারের সঙ্গে দীঘায় ঘুরতে গিয়েছিল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু দীঘা থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না। চলন্ত ট্রেন থেকে মুখ বের করে হাওয়া খেতে যাওয়াই হল কাল। ট্রেন লাইনের ধারে পোস্টে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যু হল কিশোরের। বছর আঠারোর ওই কিশোরের নাম কৌলিক চট্টোপাধ্যায় (Student Death)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কলিগ্রামে। ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ২৬ তারিখ পরিবারের সঙ্গে দীঘায় ঘুরতে গিয়েছিল। মোট ৯ জন গিয়েছিলেন দীঘায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেনে উঠেছিল কৌলিকরা। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত আর যাওয়া হল না। তার আগেই সব শেষ।

কৌলিকের মামা জানাচ্ছেন, ট্রেনে ওঠার পর থেকে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিল সে। গা গোলাচ্ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই বাইরের হাওয়া খেতে ট্রেনের গেটে গিয়ে মুখ বের করেছিল। আর তখনই ঘটে যায় এই অঘটন। ট্রেন তখন খন্যান ও পাণ্ডুয়া স্টেশনে মাঝখানে। হঠাৎ, সজোরে একটি শব্দ হয়। সকলে ঘুরে তাকাতেই, কৌলিক আর ট্রেনে নেই। পোস্টে ধাক্কা লেগে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যায় সে। মাথায় ধাক্কা লাগে পোস্টে। ট্রেন পাণ্ডুয়া স্টেশনে পৌঁছাতেই তড়িঘড়ি জিআরপির সাহায্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করেন পরিবারের লোকেরা। কৌলিককে সেখান থেকে উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসক জানান কৌলিকের মৃত্যু হয়েছে।

কৌলিকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে এক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কৌলিকের মা কমলা চট্টোপাধ্যায়ের। এবার বছর আঠারোর কৌলিকও সেই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারাল। এদিকে কৌলিকের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দীঘা থেকে ঘুরে ফেরার আনন্দ নিমেষে বিষাদে পরিণত হয়েছে। এক মুহূর্তেই সব শেষ। এত অল্প বয়সে কৌলিকের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয় পরিজনরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।