Suvendu on Prabir Ghoshal: ‘প্রবীর ঘোষালের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: মানসিকভাবে যে তিনি বিজেপিতে নেই, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
গোঘাট: গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। পরে বারবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও তৃণমূলে ফেরেননি এখনও। আর এবছর বিজয়া দশমীতে সেই প্রবীর ঘোষাল ঢাকের তালে একসঙ্গে পা মিলিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই ছবি সামনে আসার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন বিজেপির সঙ্গে প্রবীরের আর কোনও সম্পর্ক নেই। গত বছরের ২ মের পর থেকে আর সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন হুগলির গোঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বলেন শুভেন্দু।
এ দিন শুভেন্দু বলেন, ‘ওঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ২মে-র পর ২১ মাস হতে চলল বিজেপির সঙ্গে ওঁর কোনও ছবি দেখাতে পারবেন না। আমি ১৬ ঘণ্টা দলের সঙ্গে থাকি, আমি জানি।’ একাধিকবার প্রবীরের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি।
অন্যদিকে, এ দিন শুভেন্দু শাসক দলকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব বুথে প্রার্থী দেব। চোরেদের পঞ্চায়েত ফেলে দিন।’ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি আরও একবার দিতে শোনা গেল তাঁকে। তিনি বললেন, ‘সবে তো ভোর। সন্ধ্যার আগে ঝাঁপ বন্ধ করে দেব। চোরেরাও যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার স্তব্ধ করে দেব।’
এ দিন গোঘাটের শাওড়ায় বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গ ক্রমে তিনি বলেন, ‘এখানকার একটা বিধায়ক ছিলেন। সে তো খাঁটি চোর। বালি চোর। ডানকুনিতে আমি নামই বলে দিয়েছিলাম। আমাকে বলে কি না চিঠি ধরাব!’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি শুভেন্দু বলেন, কাচের ঘরে বসে ঢিল মারবেন না। তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতাকে সম্মান দেয় না সরকার। তৃণমূল সাংসদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘ডেরেক ওব্রায়েন জেনে রাখুন, ভারতবর্ষের কোনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করে বাইরে রেখে বিধানসভা হয়নি। ভারতের লোকসভা বা অন্য কোনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নামে এফআইআরও হয়নি কখনও, যেটা আমার নামে হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় সচিব এফআইআর করিয়েছেন স্পিকারের নির্দেশে।’