Tarakeswar: দীর্ঘদিনের দাবি মিটল, উদ্বোধন হল সেতু, আনন্দে কাঁদলেন গ্রামবাসী
Tarakeswar: ঘটনাস্থল তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর গ্রাম। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় যখন কোথাও পাকা রাস্তার দাবি অথবা কাচা বাড়ি ছেড়ে পাকা বাড়ি তৈরি দাবি উঠছে সেই পরিস্থিতি মালপাহারপুরের এই খবর একেবারেই বিরল।
তারকেশ্বর: কয়েক বছর আগে বাঁশের সেতু ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল মহিলার। তারপর থেকে লাগাতার আন্দোলনে সরব ছিলেন গ্রামবাসী। যাতে পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। শেষমেশ বাঁশের সেতুর বদলে মিলল পাকা সেতু। আর সেই সেতু তৈরি হতেই অঝোরে কেঁদে ভাসালেন গ্রামবাসী। তুলে দিলেন একে অন্যের মুখে মিষ্টি।
ঘটনাস্থল তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর গ্রাম। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় যখন কোথাও পাকা রাস্তার দাবি অথবা কাচা বাড়ি ছেড়ে পাকা বাড়ি তৈরি দাবি উঠছে সেই পরিস্থিতি মালপাহারপুরের এই খবর একেবারেই বিরল।
বস্তুত, হুগলির তারকেশ্বরের জগন্নাথপুর গ্রামের পাশ থেকে বয়ে গিয়েছে একটি খাল। আট থেকে দশটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র ভরসা ছিল তার উপরে তৈরি নড়বড়ে বাঁশের সেতু। এমনকী আট থেকে দশটি গ্রামের পড়ুয়ারা এই বাঁশের সেতু পেরিয়েই যেত স্কুল। বছর চল্লিশ আগে এই সেতু থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলারও।
গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাঁশের সেতুর বদলে তৈরি করা হোক পাকা সেতু। এমনকী গত এগারো বছরে পাকা সেতুর দাবিতে বার বার সরব হয়েছিল বিরোধীরা। অবশেষে দীর্ঘ চার দশক পর সেই দাবি মেনে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে নির্মাণ শুরু করা হয় পাকা সেতু নির্মাণের কাজ।
নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করেন তারকেশ্বর বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর ব্লক আধিকারিক সহ একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা। আনুষ্ঠানিক ভাবে সেতু উদ্বোধনের পরই ধরা পড়ে বিরল ছবি,আনন্দে চোখের জল ঝরে পড়ছে গ্রামের মানুষের। একে অন্যকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। প্রশাসনিক ভাবে জানা গেছে তিন মিটার চওড়া ও উনিশ মিটার লম্বা এই সেতু নির্মানে খরচ পড়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, “এই সেতু তৈরি নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ওরা আবেদন করেছিল। অবশেষে এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হল।”