Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আগে রাস্তা-জল চাই, ভোট বয়কটের পোস্টার ঝুলল হুগলির রাস্তায়

Hooghly: গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, মাটির রাস্তায় একটু বৃষ্টিতে আরও খারা হয়ে যায়। কাদার মধ্যে স্কুলে যেতে খুবই বেগ পেতে হয় এলাকার বাচ্চাদের। অন্যদিকে পানীয় জলের দাবিতেও একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।

আগে রাস্তা-জল চাই, ভোট বয়কটের পোস্টার ঝুলল হুগলির রাস্তায়
ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2024 | 9:49 AM

দাদপুর: আগে রাস্তা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা হোক, তারপর ভোট! একযোগে বলছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তা ও পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিল হুগলির দাদপুরের গোস্বামী মালিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিকুখারি গ্রামের বাসিন্দারা। বালিকুখারি বাঁধে প্রায় চল্লিশটি পরিবারের বাস। তাঁদের অভিযোগ গ্রামের একমাত্র রাস্তা এখনও কাঁচা। আশপাশে এলাকার অনেক রাস্তা ঢালাই হয়ে গেলেও এখনও তাঁদের এলাকায় কোনও কাজই হয়নি। পানীয় জলেরও ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেই। গ্রামবাসীরা বলছেন, যখনই নির্বাচন এগিয়ে আসে তখনই এলাকায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা মেলে। নানা প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ভোট মিটে গেলে আর কোনও নেতার দেখা মেলে না। 

গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, মাটির রাস্তায় একটু বৃষ্টিতে আরও খারা হয়ে যায়। কাদার মধ্যে স্কুলে যেতে খুবই বেগ পেতে হয় এলাকার বাচ্চাদের। অন্যদিকে পানীয় জলের দাবিতেও একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। সে কারণেই এবার এই গ্রামের লোকজন ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলের একটাই কথা। কাজ না হলে আর ভোট নয়। 

গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বাঁশ দিয়ে হলুদ ব্যানারে লিখে সেই বয়কটের ঘোষণ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে এই অবস্থা যে শুধু দাদপুরের এই গ্রামে এমনটা নয়। দাদাপুরের পাশেই বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গাতেও একই ছবি। সেখানে একাধিক গ্রামে ঢালাই রাস্তার দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠলেও আজও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। 

হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, গ্রামবাসীদের বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। বিজেপি সরকার রাজ্যে এলে সব দাবি পূরণ হবে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, শুনেছি বাঁধের মানুষ ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সবসময়ই মানুষকে পরিষেবা দেয়। জল-রাস্তা যা যা দাবি আছে সবই হবে। এখন নির্বাচনের সময় বলে কাজ করা যাচ্ছে না। তিনি বলছেন, গ্রামবাসীদের অনুরোধ করব ভোট বয়কট না করতে। আলোচনার মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান করা যাবে।