TMC: বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, খুলবে জুতোর দোকান! বড় অভিযোগ আরামবাগে
TMC: অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। তাঁর দাবি, এটা যখন বন দফতরের জায়গা, তখন তারাই সরকারি জায়গা ফিরিয়ে নিক। এদিকে, এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া আছে বলে দাবি বিজেপির।
আরামবাগ: শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অভাব নেই। ছোট থেকে বড় নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। তাই বলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে আস্ত পার্টি অফিস! এমনই অভিযোগ উঠল হুগলির আরামবাগে। দীর্ঘদিন ধরে দলের কাজ করে আসা কর্মীরা বুঝতেই পারছেন না, কী করবেন এরপর, কোথা থেকে চালানো হবে দল। ১৯৯৮ সাল থেকে ওই জায়গায় ছিল পার্টি অফিস। প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামী সেটা বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
১৯৯৮ সাল থেকেই ছিল অফিস। পরে ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর সরকারি বনভূমি দখল করে নতুন করে তৈরি হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটি এলাকায় তেঁতুলমুড়ি মৌজায় তৃণমূলের সেই পার্টি অফিসটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। বিরোধীরাও বলছেন, বিক্রি করে দেওয়ার কথা তাঁরা শুনেছেন। এও শোনা যাচ্ছে যে ওই জায়গায় তৈরি হবে জুতোর দোকান।
অভিযোগে সরব হয়েছেন শাসকদলের নীচুতলার কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা উৎপল দে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গায় রয়েছে পার্টি অফিস। সেটা বিক্রি হয়ে গেলে, কোথা থেকে দল চলবে, বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, “এতদিনের পার্টি অফিস যদি বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে সেটা লজ্জার। এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই। স্থানীয় তৃণমূল নেতা।”
এই খবরটিও পড়ুন
মূল অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের বিরুদ্ধে। তাঁরই অনুগামী পার্টি অফিস বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মানস মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, পার্টি অফিস কখনও বিক্রি হতে পারে না। এটা ভুল খবর রটানো হচ্ছে।
এই অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। তাঁর দাবি, এটা যখন বন দফতরের জায়গা, তখন তারাই সরকারি জায়গা ফিরিয়ে নিক। এদিকে, এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া আছে বলে দাবি বিজেপির। এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দোলন দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “শাসকদলের বর্তমান সংসদের সঙ্গে গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়কের জোর গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। একটা পার্টি অফিস নেতা-নেত্রীদের কাছে মন্দিরের সমতুল্য হওয়া দরকার। সেখানে পার্টি অফিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি শুনেছি, তৃণমূলের পার্টি অফিস বিক্রি করে ওইখানে জুতোর দোকান হবে।”