Hooghly: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ, পথে নামল তৃণমূলই
অন্যদিকে, বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ির টাকা পেলেও এখনো পযন্ত নিজের জায়গায় বাড়ি করতে পারেননি। কারণ, তৃণমল নেতাদের টাকা দিতে পারেননি তিনি। বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের টাকা না দিলে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ার দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

হুগলি: গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিরোধীর বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল। আর কখনও দেখা যায় শাসকের বিরুদ্ধে পথে নামে বিরোধী। তবে, এবার এই বাংলায় দেখা গেল ভিন্ন ছবি। একাধিক অভিযোগ তুলে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়ের বিরুদ্ধে পথে নামলো তৃণমূল। ডানকুনি-আরামবাগ রাজ্য সড়কের নাইটা মালপাহার পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়াসারা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
অভিযোগ, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়ের মদতে এলাকায় তোলাবাজি, সরকারি প্রকল্পে কাটমানি, এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে দিনের পর দিন। এরপর এদিনের বিক্ষোভে সামিল হন অত্যাচারিত সাধরণ মানুষ এবং নাইটা মালপাহার পুর পঞ্চায়েতের একাধিক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ এলাকার তৃণমূল নেতারা। সাত দফা দাবি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের হাতে স্বারক লিপি তুলে দেন তৃণমূল নেতারা। পুলিশ সমস্ত অভিযোগ যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
অন্যদিকে, বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ির টাকা পেলেও এখনো পযন্ত নিজের জায়গায় বাড়ি করতে পারেননি। কারণ, তৃণমল নেতাদের টাকা দিতে পারেননি তিনি। বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের টাকা না দিলে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। যদিও, এবিষয়ে তারকেশ্বর বিধায়ক রামেন্দু সিংরায়কে ফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে সব প্রশ্ন শুনে ফোন কেটে দেন বিধায়ক রামেন্দু সিংরায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “তৃণমূল সরকার আসার পর বাংলা আবাস যোজনা পাই। বিধায়ক ঘর করতেই দিচ্ছেন না। ওসি ওঁকে ডেকে ডেকে পাগল হয়ে যাচ্ছেন। খালি কাটিয়ে দিচ্ছেন। মাল-মশলা সব নষ্ট করে দিয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাইদুল মোল্লা বলেন, “কিছু জমি মাফিয়া জোর করে লোকের জমি দখল করছে। কুড়ি বছরের পুরনো পাকা বাড়ি দখল করতে চাইছেন। বাড়ির কোনও কাজ করতে চাইলেই কাটমানি চাইছে।”
