Khanakul Flood Situation: খানাকুলের গ্রামে দেড় তলা বাড়ির সমান জল, প্রসূতিকে উদ্ধার করল এনডিআরএফ
Khanakul Flood Situation: গ্রামে এখনও জল ডুকছে রূপনারায়ণের ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে। গ্রামের ভেতর কোথাও ১০ ফুট, কোথাও ১৫ ফুট জলেরস্তর। গ্রামের ভেতর বইছে জলের স্রোত।
হুগলি: খানাকুলের (Khakul Flood Situation) সে অর্থে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। খানাকুলের ছত্রশাল বালিপুর উদনা এলাকায় ত্রাণকার্যে নামল সেন্ট্রাল ফোর্স। সোমবার সকালে এই এলাকাতেই গ্রাম থেকে গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন এনডিআরএফ কর্মীরা।
গ্রামে এখনও জল ডুকছে রূপনারায়ণের ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে। গ্রামের ভেতর কোথাও ১০ ফুট, কোথাও ১৫ ফুট জলেরস্তর। গ্রামের ভেতর বইছে জলের স্রোত। আরামবাগ-বন্দর, আরামবাগ- গড়েরঘাট, পানশিউলি, গণেশপুর প্রভৃতি রাজ্য সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
অপেক্ষাকৃত উঁচু এই সমস্ত রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে ৪-৫ ফুট জলের স্রোত বইছে। সমস্ত পঞ্চায়েত অফিসই জলমগ্ন। বাজার-ঘাট, দোকান সবেতেই বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা বা তাল ডিঙি। পরপর ৩ বার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন খানাকুলের মানুষ।
তবে কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি হবে, প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। গোঘাটের ভাদুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙেছে ইতিমধ্যেই। রাতে হু হু করে জল ঢোকে আরামবাগ শহরে। সরকারি ভবনে বন্যার জল ঢুকেছে। বসতবাড়িতেও জল ঢুকেছে। বন্যায় একপ্রকার এলাকাছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধানেরই আশ্রয় হয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু রাস্তার ধারের ত্রিপলের নীচে। রাজহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর প্রামাণিকের এখন পরিবার নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয় খোলা আকাশের নীচে। তবে তাঁর কথায়, ‘এখনে থাকতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’
এদিকে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হল । রবিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,১২,১০০ কিউসেক জল । রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল ।
নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,২৬,২০০ কিউসেক জল । রবিবার সকালে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। রবিবার সকালে ছাড়া হয় ১,১২,১০০ কিউসেক হারে জল। রবিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।
গত ১২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির জেরে ডুবতে বসেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলা। জলাধারগুলি থেকে হু-হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে সেটাই। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ-সহ বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়ার একাধিক ব্লক পুরোপুরি জলের তলায়।
আরও পড়ুন: Flood in Bengal: মাথার ওপর ত্রিপলটুকুও জোটেনি, নিজেদের ঘরের শেষ রসদ দিয়েই পেট চলছে, কোথায় প্রশাসন?
আরও পড়ুন: Durgapur Barrage: আরও কমানো হল দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ, পরিস্থিতি ফেরার আশা