Hooghly: সাগরদিঘিতে তৃণমূলের হার নিয়ে বিস্ফোরক অপরূপা পোদ্দার, দলের বিরুদ্ধেই বোমা…
Aparupa Poddar: সাংসদ আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী জোট যারা করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্য এ ধরনের জোট করছে।
হুগলি: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে চাঞ্চল্যকর বার্তা তৃণমূল সাংসদের। রিষড়ায় বিস্ফোরক আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দলেরই একাংশকে দায়ী করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সাংসদ। অপরূপার দাবি, সাগরদিঘির এই ফলাফলের জন্য দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন। তুলে ধরেছেন সাচার কমিটির রিপোর্টের প্রসঙ্গও। অপরূপা বলেন, ‘আজ সারা ভারতে একজনই নেতা আমাদের। দিদি মমতা ব্যানার্জি রাজনীতি জানেন, তিনি একাই যথেষ্ট। আমরা সবাই তাঁর নামে নির্বাচন জিতেছি। সাগরদিঘিতে দলেরই মীরজাফর কাজ করেছে। দলের কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের কারণে আমাদের লাল কার্ড দেখতে হয়েছে এবং মাঠের বাইরে। কিছু বড় নেতা এখনও যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করুন। তার পদ্ধতি অনুসরণ করুন। দল অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
কাদের কথা শুনতে না করছেন অপরূপা তা স্পষ্ট নয়। তবে এ ব্যাপারে অপরূপার বক্তব্য, “যারা খারাপ কাজ করেছে, যাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে, যারা দলে থেকে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দলকে ছুরি মেরেছে দল তাদের রেড কার্ড দেখিয়েছে। অধীর এবং শুভেন্দুর মধ্যে একটা ভাল আঁতাত রয়েছে। অধীর চৌধুরী নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত গিয়েছিল। এটা সবাই জানে।”
সাংসদ আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী জোট যারা করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্য এ ধরনের জোট করছে। অপরূপার অভিযোগ, কেন্দ্রকে বলে বাংলার বিজেপি নেতা ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য বলেও তোপ দাগেন অপরূপা।
যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক। তিনি বলেন, সাংসদ ফেসবুকে যা লিখেছেন সেটা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়। তবে সাগরদিঘি দেখিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দিদি যিনি টাকা দিয়ে মানুষের মন কিনতে চেয়েছিলেন তিনি পারেননি। মানুষ সঠিক সময় সঠিক কাজ করবেন এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। মীরজাফর বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা সবাই বুঝতে পেরেছে। নওশাদ সিদ্দিকিকে ৪০ দিন ধরে যে জেলে আটকে রাখা, এটা তারই ফল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সঠিক জবাব দিতে শুরু করেছে।”