Howrah Murder: হাওড়ায় উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত রক্তমাখা দেহ, মদ-জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করাতেই কুপিয়ে খুন? তদন্তে পুলিশ
Howrah news: পরিবারের অভিযোগ, বেআইনি মদ ও জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করা তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
হাওড়া: যত কাণ্ড হাওড়ায়। কয়েকদিন আগেই মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল এক বাবাকে। এবার মদ-জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন (Howrah Murder) করার অভিযোগ উঠল। মৃত ব্যক্তির নাম রবি রাই। বয়স ৪২ বছর। গতরাতে ওই ব্যক্তি যখন স্কুটিতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার ভোরে বাড়ির কাছেই নাজিরগঞ্জের নেপালি পাড়ায় একটি শিবমন্দিরের পাশে ওই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ। সারা শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। পরিবারের অভিযোগ, বেআইনি মদ ও জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করা তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
এদিন সকালে সাঁকরাইল থানার পুলিশ রবি রাইয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গাটি ব্যারিকড করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ফরেন্সিক দলের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ধৃতরা রবি রাই নামে ওই ব্যক্তি পরিচিত।
মৃতের এক আত্মীয় জানান, তাঁদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি মদের আসর বসত। সঙ্গে চলত জুয়ার ঠেকও। সেখান থেকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম চলত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মৃতের ওই আত্মীয়র দাবি, সেই সবের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রবি রাই। তাতে অনেকদিন ধরেই রবিকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে রবিকে একা পেয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফরেন্সিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই হামলা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। রবি রায় পেশায় গহনা ব্যবসায়ী। প্রতিবাদ করায় খুন? নাকি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পুরনো কোনও শত্রুতা? সেই সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।