Money Recovery: প্রথমে ৮৪ লাখ, তারপর আজ আবার! কোথা থেকে আসছে এত টাকা
Money Recovery: ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর অন্যান্য দিনের মতো, আজও প্লাটফর্ম চত্বরে চেকিং করছিলেন আরপিএফের অফিসাররা। তখনই পাঁচ জন ব্যক্তির চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তাদের সঙ্গে ছিল একটি বড় ব্যাগ। সন্দেহভাজন ওই পাঁচজনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন অফিসাররা। আরপিএফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শুরুতেই ঘাবড়ে যায় ওই পাঁচজন। কথাবার্তায় ধরা পড়ে অসঙ্গতি।
হাওড়া: ভোটের মুখে ফের বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার বাংলায়। হাওড়া স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস ঢুকতেই উদ্ধার হল নগদ ২৭ লাখ টাকা। বান্ডিল বান্ডিল করা সব ৫০০ টাকার নোটের সন্ধান পেলেন আরপিএফের অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে। দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস তখন সবে ঢুকেছে হাওড়া স্টেশনে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর অন্যান্য দিনের মতো, আজও প্লাটফর্ম চত্বরে চেকিং করছিলেন আরপিএফের অফিসাররা। তখনই পাঁচ জন ব্যক্তির চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তাদের সঙ্গে ছিল একটি বড় ব্যাগ। সন্দেহভাজন ওই পাঁচজনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন অফিসাররা। আরপিএফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শুরুতেই ঘাবড়ে যায় ওই পাঁচজন। কথাবার্তায় ধরা পড়ে অসঙ্গতি। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে বান্ডিল বান্ডিল ৫০০ টাকার নোট।
জানা যাচ্ছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে দু’জন ধানবাদের বাসিন্দা এবং বাকি তিনজন প্রয়াগরাজের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে গিয়ে একপ্রকার হিমশিম খেতে হয় আরপিএফের অফিসারদের। নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার মেশিন। সেই মেশিন দিয়ে টাকা গুনে দেখা যায়, মোট ২৭ লাখ টাকা ছিল ব্যাগের মধ্যে। ভোটের মুখে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল, কেন নিয়ে হচ্ছিল, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। কিন্তু সন্তোষজনক কোনও উত্তর পাননি আরপিএফের অফিসাররা। যদিও সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিরা দাবি করছিলেন তারা ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সোনা ও রেডিমেড কাপড় কিনতেই হাওড়ায় এসেছিলেন। কিন্তু কার্যত এই পাহাড় প্রমাণ টাকার কোনও বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেননি বলেই সূত্রের খবর।
শেষ পর্যন্ত সন্দেহভাজন ওই পাঁচ জনের থেকে সন্তোষজনক কোনও উত্তর না পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই হাওড়ায় রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে নগদে প্রায় ৮৪ লাখ উদ্ধার হয়েছিল। তারপর আজ আবার ভোটের মুখে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হল হাওড়া স্টেশনে। এবারও সেই রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপেই এসেছিল ধৃতরা।