ময়নাগুড়ি: শিয়রে লোকসভা ভোট। প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। তাঁর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করতে আসরে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল অর্থাৎ, ১৪ তারিখই অভিষেকের জলপাইগুড়ি আসার কথা। ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব ময়দানে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আর ঠিক তার আগেই সুর চড়াতে শুরু করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিষেকের সভার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের এনে রাখা হচ্ছে স্কুলে এবং সেই কারণে ময়নাগুড়ির চারটি স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে রাখা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। ময়নাগুড়ির যে স্কুলগুলিকে কেন্দ্র করে তাঁদের অভিযোগ, সেই স্কুলগুলির সামনে আজ বিক্ষোভও দেখায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতা চঞ্চল রায়ের বক্তব্য়, ‘সরকারি পঠনপাঠন বন্ধ করে, ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে, স্কুল বন্ধ করে ফোর্স ঢোকানো হয়েছে। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, আগামিকাল থেকে স্কুল খুলতে হবে, নাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চঞ্চল রায়। বিজেপির ময়নাগুড়ি টাউন মণ্ডলের যুব সভাপতি সুজন মিত্রও বলছেন, ‘স্কুল বন্ধ করে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। ময়নাগুড়ির চারটি স্কুল জবরদখল করে রাখা হয়েছে।’
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মনোজ রায়। উল্টে নির্বাচনের সময় এত কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন আনা হচ্ছে এবং তার জন্য বেশ কিছু স্কুলে যে সমস্যা হবে, সে কথাই পাল্টা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। বিজেপি যে অভিযোগ তুলছে সেটি পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয় বলেই দাবি করছেন মনোজ রায়।
এদিকে বিজেপির এই অভিযোগের বিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল জেলা স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলের সঙ্গেও। তিনিও জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন আজ ময়নাগুড়ির তিনটি স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কী কারণে স্কুল বন্ধ, সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফোর্স থাকার জন্য কোনও স্কুল নেওয়া হয়নি।