Firhad Hakim: ‘কাজটা ঠিকমতো হয়নি’, নেতাদের আচরণ শেখাতে ‘পাঠশালা’ চালু করতে চান ফিরহাদ
Firhad Hakim: লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে ভরাডুবি হয়েছে পুর এলাকাগুলিতেও। তৃণমূলের দখলে থাকা বোর্ডের মেয়র থেকে কাউন্সিলরের নিজের ওয়ার্ডে কেউ দলকে লিড দিতে পারেননি। সেই উত্তরে গিয়ে কারণ খুঁজে বের করলেন ফিরহাদ।

শিলিগুড়ি: গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জমি ক্রমশ শক্ত করতে শুরু করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে নিশীথ প্রামাণিককে হারানো সম্ভব হলেও উত্তরের বাকি আসনগুলিতে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সারা রাজ্যে যখন তৃণমূল সাফল্যের উদযাপন করছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য পেশ করছে, তখন উত্তরে কেন কোনও ম্যাজিক কাজ করল না? সে সব খতিয়ে দেখতে গিয়ে খামতি খুঁজে বের করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কোন পথে সাফল্য আসা সম্ভব? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে যা যাওয়ার তা গেল। কিন্তু ঠিক দু’বছর পর বিধানসভা ভোটেও পাখির চোখ সেই উত্তর। আজ মঙ্গলবার উত্তরে বিপর্যয় খুঁজতে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, উত্তরের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চান, কিন্তু উত্তরে দলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক পাঠ প্রয়োজন। সেই পাঠে রাজনীতি থেকে আচার-ব্যবহার সবটাই শেখাতে হবে।
ফিরহাদ স্পষ্ট বলেন, “আমি ৩-৪ দিন ধরে দেখলাম, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে কারও কোনও ক্ষোভ নেই। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু সেই সমর্থনটাকে ভোটে ট্রান্সফর্ম করার কাজটা ঠিকমতো হয়নি। অর্গানাইজশনের কাজ হয়নি এই জেলাগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী প্রানপণ চেষ্টা করেছেন।” তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক পাঠশালা হলে উত্তরের নেতাকর্মীদের কাজ ভাল হবে। ওয়ার্কশপ করতে হবে। প্রচার ও জনসংযোগ শিখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে ভরাডুবি হয়েছে পুর এলাকাগুলিতেও। তৃণমূলের দখলে থাকা বোর্ডের মেয়র থেকে কাউন্সিলরের নিজের ওয়ার্ডে কেউ দলকে লিড দিতে পারেননি। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে বিষয়ে মন দেওয়ার কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “উত্তরবঙ্গে সংগঠন দুর্বল, কলকাতায় তো নয়। শহরতলিতে তৃণমূলের ভোট কমে গেল কেন? সেখানেও তো মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না।”





