Jalpaiguri Accident: দশমীর রাতে পিষে দিয়েছিল চাকা, জলপাইগুড়ির ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে চিকিৎসক
Jalpaiguri Accident: নবিউল আলম তাঁর হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, আটা, তেল, সয়াবিন পরিবারগুলির হাতে তুলে দেন। তিনি প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের সঙ্গে বসে তাঁদের কষ্টের কথা শোনেন। শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, তিনি সেই তিনটি পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যৎকেও গুরুত্ব দিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি: দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ‘গরিবের রবিনহুড’ নবিউল আলম। দশমীর রাতের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ধূপগুড়ির ২ নম্বর ব্রিজ এলাকায় চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থেকে ছুটে আসেন সমাজসেবী চিকিৎসক নবিউল আলম। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের দুরবস্থার খবর পেয়ে তিনটি পরিবারের বাড়িতে পৌঁছন এবং মৃত ও আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান।
নিহতদের পরিবারে হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী ও হবিসির খাবার। সেই সঙ্গে নিহতদের পরিবারের ছেলে মেয়েদের সাবালক হওয়া পর্যন্ত পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
নবিউল আলম তাঁর হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, আটা, তেল, সয়াবিন পরিবারগুলির হাতে তুলে দেন। তিনি প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের সঙ্গে বসে তাঁদের কষ্টের কথা শোনেন। শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, তিনি সেই তিনটি পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যৎকেও গুরুত্ব দিয়েছেন।
যেসব পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী এই দুর্ঘটনায় হারিয়ে গিয়েছেন, সেই পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব নিজে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। নবিউল আলম বলেন, “এই শিশুদের পড়াশোনা চলতে হবে, যতদিন না তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, ততদিন তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ আমি বহন করব।”
তার এই মানবিক উদ্যোগে দুর্ঘটনার শোকস্তব্ধ পরিবারগুলোতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। নবিউল আলমের এই পদক্ষেপ যেন পরিবার গুলির মধ্যে এক টুকরো আশা ও মানবিকতার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন জলপাইগুড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এক বৃদ্ধ-সহ চার জনকে পিষে দিয়ে চলে যায় চার চাকা একটি গাড়ি। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও সাত জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সে সময়েই চার চাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে। জানা যায়, চালক মদ্যপ ছিলেন, তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি শহরের এশিয়ান হাইওয়ের ২ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। উৎসবের মরশুমে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।
