ডুয়ার্স: ড্রোন (Drone Controversy) বিতর্ক গোরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মূর্তি এলাকাতে। ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার অপরাধে পর্যটকদের জরিমানা করল বন দফতর। বিনা অনুমতিতে এ ভাবে ড্রোন ওড়ানোর খেসারত দিতে হল তাঁদের।
পর্যটনকেন্দ্র মূর্তিতে বিনা অনুমতিতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারের অভিযোগে দিতে হল জরিমানা। মূর্তি নদীর পাশেই রয়েছে গরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্য। এদিন মূর্তি সেতুর নীচে নদীতে ড্রোন উড়িয়ে ভিডিয়ো করছিলেন শিলিগুড়ির কয়েকজন বাসিন্দা।
বিষয়টি জানতে পেরে মূর্তি বিটের বনকর্মীরা ড্রোন ক্যামেরা-সহ ব্যবহারকারীদের আটক করে মূর্তি বিট অফিসে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় গরুমারা নর্থ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দেকে। রেঞ্জার এসে ড্রোনের মেমোরি কার্ডের যাবতীয় ভিডিয়ো ও ছবি খতিয়ে দেখেন।
অভিযুক্ত পর্যটকদের বিরুদ্ধে বন দফতরের অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চল অথবা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও ভাবেই ড্রোন ওড়ানো যায় না। তবু মূর্তি এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ঘটনায় রীতিমতো হইচই শুরু হয় এলাকায়। একই সঙ্গে এখানে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ, তাই প্রথম দিকে এই খবর ঘিরে কিছুটা চাঞ্চল্যও ছড়ায়।
রেঞ্জার সুদীপ দে জানান, অনেকেই এই ড্রোন ওড়ানোর নিয়মবিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। এদিনও যাঁরা মূর্তি নদীর উপর ড্রোন ওড়াচ্ছিলেন, তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন না। একই সঙ্গে তিনি জানান, ড্রোনটি থেকে জঙ্গলের বা অন্য কোনও ধরনের ছবি বা ভিডিয়ো পাওয়া যায়নি। তবুও বিনা অনুমতিতে মূর্তিতে ড্রোন ওড়ানোর জন্য তাঁদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, জাতীয় উদ্যান বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কখনওই ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া যায় না। এমনকী এর পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। যদিও সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ড্রোন ওড়ানো ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত রাভা বস্তিতে ওড়ানো হয়েছিল ড্রোন। অভিযোগ উঠেছিল, তথ্যচিত্রের কাজ চলছিল একটি দলের। তারাই ড্রোন ব্যবহার করে। তারও আগে বাঙালি এক চলচ্চিত্র পরিচালককেও সংরক্ষিত এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর জন্য জরিমানা দিতে হয়।
ড্রোন ওড়ানো নিয়ে গত অগস্টে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। লাইসেন্স পাওয়া থেকে ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কী কী নথির প্রয়োজন, কোন কোন ক্ষেত্রে অনুমতি প্রয়োজন সমস্ত কিছুর উল্লেখ করা হয় সেই নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন: Audio Clip Controversy: শাসকদলের দুই নেতার উত্তপ্ত ফোনালাপ! ‘ভাইরাল করলেন’ তৃণমূলেরই বিধায়ক