Jalpaiguri: বিনা ওয়ারেন্টে বাইক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, হাইকোর্টে মামলা উঠতেই বিচারপতি যা বললেন…
Jalpaiguri: মামলাটি বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর এজলাসে ওঠে। উভয় পক্ষ শোনার পর বিচারপতি পুলিশ আধিকারিক ধীমান কাজীকে সোমবার সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি: তদন্তের নামে বিনা ওয়ারেন্টে দামী মোটর বাইক উঠিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। ওই পুলিশ আধিকারিককে তলব করলেন বিচারপতি। কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে অভিযুক্তকে খুঁজতে যান পুলিশ আধিকারিক ধীমান কাজী। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাইক তুলে নিয়ে আসেন ওই আধিকারিক। এরপর ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে রিট পিটিশন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলাটি বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর এজলাসে ওঠে। উভয় পক্ষ শোনার পর বিচারপতি পুলিশ আধিকারিক ধীমান কাজীকে সোমবার সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের বাসিন্দা রাজা মণ্ডল ও তপন সরকার সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই। শহরে তাঁদের একটি জিম রয়েছে। ওই জিমের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। এবং তা নিয়ে ভাই অসীম সরকার দাদা রাজা মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
রাজা মণ্ডলের স্ত্রী রোহিনী বলেন, “পুলিশ তদন্তের নামে দাদাগিরি করে। বিনা সার্চ ওয়ারেন্টে আমাদের হেনস্থা করা হয়। আমাদের সিজার লিস্টও দেয়নি। পাশাপাশি আমাদের হুমকি দেন ওই পুলিশ আধিকারিক।”
মামলাকারীর আইনজীবী শুভঙ্কর দত্ত বলেন, “পুলিশ মাসেল পাওয়ার দেখিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার পর আমার মক্কেল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। এরপর তিনি হাইকোর্টের দারস্থ হয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন।”

