Jalpaiguri Python: ছাগলটার অর্ধেক শরীর ততক্ষণে পেটে, দীর্ঘদিন বাদে এত লম্বা পাইথন উদ্ধার উদ্যানের পাশে

Jalpaiguri Python: তবে ২০০২ সালে উত্তরবঙ্গের সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ মার্কোশিও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে অজগর সাপ নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করতে এসেছিলেন।

Jalpaiguri Python: ছাগলটার অর্ধেক শরীর ততক্ষণে পেটে, দীর্ঘদিন বাদে এত লম্বা পাইথন উদ্ধার উদ্যানের পাশে
২০ ফুটের পাইথন উদ্ধার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 11:26 AM

জলপাইগুড়ি: ছাগলকে পেঁচিয়ে ততক্ষণে প্রায় গিলেই ফেলেছিল দৈত্যাকার সাপ। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়েই খবর দেন বনদফতরে। বনকর্মীরা দিয়ে উদ্ধার করেন ২০ ফুটের লম্বা পাইথন। বহু বছর পর প্রায় ২০ ফুট লম্বা পাইথন উদ্ধার হল গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার মৌলানি বাজার সংলগ্ন নেওরা নদীর পাড়ে একটি বিশাল অজগর সাপকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সাপটি একটি ছাগলকে গিলে ফেলেছে ততক্ষণে। এরপর তাঁরা খবর দেন ময়নাগুড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায়কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। পরে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দেন তাঁরা। এদিন সাপটিকে দেখতে ভিড় জমতে থাকে ওই এলাকায়।

সর্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই বিশালাকার বার্মিজ পাইথনটি লম্বায় প্রায় ২০ ফুট। ওজনে আনুমানিক ৫০ কিলো মত ছিল। এত বড় মাপের অজগর সাপ গরুমারা সংলগ্ন লোকালয় এলাকায় বহু বছরের মধ্যে দেখা যায়নি।

তবে ২০০২ সালে উত্তরবঙ্গের সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ মার্কোশিও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে অজগর সাপ নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করতে এসেছিলেন। সেইসময় প্রায় ২৬ ফুট লম্বা পাইথন ধরেছিলেন মিন্টু। পরে তাঁকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে এদিন ২০ ফুট লম্বা অজগর সাপটিকে বাগে এনে তারপর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পরিবেশ কর্মীদের। প্রায় দু ঘন্টার চেষ্টায় বাগে আসে অজগর সাপটি।

এদিন সাপটির পাশে একটি বড়সড় আকারের মরা ছাগল উদ্ধার হয়েছে। নন্দু রায় জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দীর্ঘ জীবনে প্রচুর অজগর সাপ উদ্ধার করেছেন। কিন্তু প্রায় ২০ ফুট লম্বা এবং ওজনে প্রায় ৫০ কেজি পাইথন তিনি তাঁর জীবনে প্রথম ধরলেন।

এদিন সাপ উদ্ধারের সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লাটাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার শুভ্রশঙ্খ দত্ত সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। উদ্ধারের পর সাপটি সুস্থ থাকায় তাকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মনে হয় নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় কোনও ভাবে সাপটি ভেসে চলে আসে। সাপটি ক্ষুধার্ত ছিল।

লাটাগুড়ি রেঞ্জের বন কর্মী রাই পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সাপটি উদ্ধার করা হয় । আনুমানিক ২০ ফিট লম্বা । সাপটি সুস্থ লাটাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার শুভ্রশঙ্কু দত্তের সহযোগিতায় এদিনেই লাটাগুড়ি জঙ্গলে ছাড়া হয়।