MalBazar Incident: সবেমাত্র শুয়েছেন মহিলা, হঠাৎই খাটের নিচ থেকে ভেসে এল হাড় হিম করা আওয়াজ…..
MalBazar: শনিবার রাত থেকেই চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্থ মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের মানুষ। এদিন রাতে উত্তর খালপাড়ায় অমল রায় নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে চুপিসাড়ে ঢুকে পড়ে ওই বাঘটি।
মালবাজার: বাড়ির কাজ সেরে খাটে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন গৃহকর্ত্রী। আর ঠিক সেই খাতের নিচেই ঘাপটি মেরে বসে আস্ত এক চিতাবাঘ! শনিবার রাত থেকেই চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্থ মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের মানুষ। এদিন রাতে উত্তর খালপাড়ায় অমল রায় নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে চুপিসাড়ে ঢুকে পড়ে ওই বাঘটি। যদিও, গতরাতেই বন দফরের কর্মী ও পুলিশের তৎপরতায় জাল বন্দি করা গিয়েছে চিতা বাঘটিকে। ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে সেটিকে ধরতে সক্ষম হন বন দফতরের কর্মীরা। তবুও অতর্কিতে এহেন বাঘের হানা যেন থমথমে করে দিয়েছে গোটা এলাকাকে।
জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতোই বাড়ির রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন ক্রান্তি পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর খালপাড়ার বাসিন্দা অমলবাবুর স্ত্রী মিনতিদেবী। সেই সময়ই বাড়ির ভিতরে চুপিসারে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। প্রথমে উঠোনে রাখা একটি ছাগলের উপর আক্রমণ করে সে। পরে একটি ঘরে ঢুকে আশ্রয় নেয় খাটের নিচে।
এদিকে, ততক্ষণে কাজকর্ম সেরে মেয়েকে নিয়ে সেই খাটে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন গৃহকর্ত্রী। কিন্তু খাটের নিচে কিসের আওয়াজ? নিচে তাকাতেই কার্যত চোখ কপালে ওঠে মা-মেয়ের। কোনও মতে ঘর থেকে বেরিয়ে ডেকে আনেন প্রতিবেশীদের। তাদের উদ্যোগে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ এবং বনদফতরকে। তাদের যৌথ উদ্যোগে চলে চিতাবাঘ ধরার কাজ।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পর অবশেষে রাত প্রায় একটা নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ে চিতাবাঘ থেকে কাবু করা হয়। পরে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় লাটাগুড়ি। এ বিষয়ে বনদফর জানায়, প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা করে চিতাবাঘটিকে ফের বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের চা বাগান কিংবা বনাঞ্চল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে দিনের পর চিতাবাঘের উপদ্রব বাড়ছে। দিনের আলো কিংবা রাতের অন্ধকার, মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘ হানা দিচ্ছে গৃহস্থের বাড়ির ভিতরে কিংবা গোয়ালঘরে। কখনও-কখনও চিতাবাঘের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়ির গৃহপালিত পশুরা। কিন্তু বাড়ির ভিতরে ঢুকে খাটের নিচে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে সেই আতঙ্ক। শনিবার রাতের পর থেকে কার্যত তটস্থ হয়ে রয়েছে ক্রান্তি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: বাকি বাড়ির আগুন নেভালেও সোনা শেখের বাড়িই কেন এড়িয়ে গেল দমকল? প্রশ্ন সিবিআইয়ের