AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Leopard Attack: রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধার টুঁটি চেপে ধরল চিতাবাঘ, বাঁচাতে গেলে জখম আরও ৩

Leopard Attack: জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, রাজদীপ বিশ্বাস এবং প্রিতম রায়কে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন মায়া পাল।

Leopard Attack: রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধার টুঁটি চেপে ধরল চিতাবাঘ, বাঁচাতে গেলে জখম আরও ৩
ভয়ের পরিবেশ গোটা এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2025 | 4:13 PM
Share

জলপাইগুড়ি: বৃদ্ধার টুঁটি চেপে ধরল চিতাবাঘ। শহরের উপকন্ঠে চিতাবাঘের হামলায় আতঙ্ক। রবিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভা বাড়ি গ্রামে চিতাবাঘের হামলায় ৪ জন জখম হন। এ ঘটনাতেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে রবিবার রাতে মহালয়া উপলক্ষে শোভা বাড়ি গ্রামে পিকনিক হচ্ছিল। ওই সময় স্থানীয় চা বাগান থেকে আচমকাই গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। এক কিশোরের উপর আক্রমণ করে। তারপর সোজা চলে যায় গৃহস্থের বাড়িতে। 

যে সময় চিতাবাঘটি ঢোকে সেই সময় বৃদ্ধা মায়া পাল (৬১) শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন। আচমকা চিতাবাঘটি এসে তাঁর টুঁটি চেপে ধরে। ছাড়াতে গেলে শরীরের নানা অংশে থাবা মারে। বৃদ্ধার চিৎকারে ততক্ষণে বাড়ি থেকে ছুটে এসেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। এরপর সোজা তাঁদের ঘরে ঢুকে যায়। ইতিমধ্যে আরও মানুষ এসে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে ঘর থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে চা বাগানের দিকে অন্ধকারে মিশে যায়। রাতেই গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়তে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। 

কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? 

জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, রাজদীপ বিশ্বাস এবং প্রিতম রায়কে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন মায়া পাল। খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাসপাতালে যান সিপিএমের জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র। আহত বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ ঘোষ আবার চিতাবাঘ ধরার জন্য দ্রুত খাঁচা পাতার দাবি জানিয়েছেন। 

আহত বৃদ্ধার পুত্রবধূ রূম্পা পাল বলেন, “আমি শাশুড়ির চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে আসি। সঙ্গে সঙ্গে জন্তুটি লাফিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে যায়।” ঘটনার পর রাতেই পুলিশ আসে। সকালে বন দফতরের কর্মীরাও আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। চাপা ভয়ের পরিবেশ গোটা এলাকায়।