National Park: হোলি উপলক্ষে ২ দিন বন্ধ গরুমারা, চাপরামারির জঙ্গল, চলছে বন দফতরের টহলদারি

Forest Department: হোলি উৎসবকে সামনে রেখে একটি বিশেষ জনজাতি শিকার উৎসব পালন করে থাকে। আর এই শিকার উৎসবে যাতে কোনও বন্যপ্রানী মারা না যায় তার জন্য অ্যান্টি-পোচিং স্পেশাল ডিউটি শুরু হয়েছে প্রতিটি জঙ্গলে।

National Park: হোলি উপলক্ষে ২ দিন বন্ধ গরুমারা, চাপরামারির জঙ্গল, চলছে বন দফতরের টহলদারি
জঙ্গলে নজরদারি বনকর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 10:42 AM

লাটাগুড়ি: হোলির সময় পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল। দু’দিনের জন্য তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোলি উৎসবকে সামনে রেখে একটি বিশেষ জনজাতি শিকার উৎসব পালন করে থাকে। আর এই শিকার উৎসবে যাতে কোনও বন্যপ্রানী মারা না যায় তার জন্য অ্যান্টি-পোচিং স্পেশাল ডিউটি শুরু হয়েছে প্রতিটি জঙ্গলে। নজরদারি জোরদার করতেই হোলির সময় দুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গরুমারা, চাপড়ামারি এবং নেওড়া ভ্যালির জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতরে পর্যটকদের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে এই দুই দিন। আগামী ৭ এবং ৮ মার্চ এই দুদিন পর্যটকরা জঙ্গলের ভেতরে কোনও রকম জিপসি সাফারি করতে পারবে না। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য জঙ্গলের ভিতরে যে সমস্ত থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে সেগুলিও বন্ধ থাকবে। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও এর তরফে এই নির্দেশিকাও জারি করেছেন।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলির এই সময় এক শ্রেণির অসাধু মানুষের মধ্যে শিকার উৎসবে শামিল হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অনেকেই এই সময় জঙ্গলের ভিতরে ঢোকে শিকার করার উদ্দেশ্যে। কাজেই পর্যটকদের আড়ালে কোন অসাধু ব্যক্তি যাতে এই ক’দিন জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে এই কারণেই এই দুদিনের জঙ্গল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বন বস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে সচেতনতামূলক একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে এই উৎসবের দিনগুলি শুধুমাত্র রঙের মাধ্যমেই পালন করেন সেই কথাও তাঁদের বোঝানো হচ্ছে। ডুয়ার্সের প্রত্যেকটি জঙ্গলে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে লাগাতার চলছে বন দফতরের কর্মীদের টহলদারি।

তবে জঙ্গল বন্ধের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ ডুয়ার্সের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন মূর্তি জিপসি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ যেখানে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন্য খোলা রয়েছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন গরুমারা ও চাপড়ামারি বন্ধ করা হল। যদি বন্ধ করতেই হয় তবে সব জঙ্গল এক সঙ্গে বন্ধ করা উচিত। তবে জঙ্গলে যাতে কোনভাবেই আর শিকার না হয় সেই দিকে করার নজর রয়েছে বনদফতরের। জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মজিদুল আলম বলেছেন, “মার্চের ৭-৮ তারিখ জঙ্গল পর্যটকদের জন্য গরুমারা, চাপরামারি ও নেওরাভ্যালি জঙ্গল বন্ধ থাকবে হোলি উপলক্ষে। তবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান খোলা থাকছে শুনতে পেলাম। এটা কী করে হয়। এতদিন সমস্ত জাতীয় উদ্যান জঙ্গল পর্যটকদের জন্য হোলির সময় দু’দিন বন্ধ থাকতো। এবার হঠাৎ জলদাপাড়া খোলা রাখা হচ্ছে। আমাদের দাবি, খোলা থাকলে সমস্ত জাতীয় উদ্যান খোলা থাক, না হলে সব গুলো বন্ধ থাকুক।”

বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ সীমা চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, “একটি বিশেষ জনজাতী হোলি উপলক্ষে শিকার উৎসব পালন করে থাকে। এই শিকার উৎসবে যাতে কোনো বন্যপ্রাণি মারা না যায় তার জন্য অ্যান্টি-পোচিং স্পেশাল ডিউটি শুরু হয়েছে প্রতিটি জঙ্গলে। নজরদারি জোরদার করতেই হোলির সময় দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গরুমারা, চাপড়ামারি এবং নেওড়া ভ্যালির জঙ্গল।”