AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri: ক্যামেরা দেখেই রুমালে মুখ ঢাকছেন, দিনের আলোয় ধূপগুড়ির রাস্তায় যেন ‘স্পেশাল ২৬’

Dhupguri: প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালককে নিয়ে গিয়ে ঢোকানো হয় কাছের এক সিমেন্টের গোডাউনে। সেখানে শুরু হয় গোপন কথাবার্তা। প্রথমে লোকজন ভেবেছিলেন কোনও সরকারি দফতরের অভিযান চলছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও অভিযানের কোনও নামগন্ধ নেই। কারও পরিচয়ও স্পষ্ট ছিল না। তখনই সন্দেহ বাড়তে থাকে।

Dhupguri: ক্যামেরা দেখেই রুমালে মুখ ঢাকছেন, দিনের আলোয় ধূপগুড়ির রাস্তায় যেন 'স্পেশাল ২৬'
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2025 | 6:17 PM
Share

ধূপগুড়ি: সাদা পোশাকে পাঁচ-ছ’জনকে মিলে আটক করলেন সুপারি বোঝাই পিকআপ ভ্যান। কিন্তু গ্রামবাসীরা যেই ঘিরে ধরল, অমনি উধাও সবাই। কেউ পালালেন টোটোতে, কেউ আবার চলন্ত বাসে। ধূপগুড়ির ঘটনা হার মানাচ্ছে অক্ষয় কুমারের ‘স্পেশাল ২৬’-এর কাহিনিকেও। সাদা পোশাকে সুপারি বোঝাই গাড়ি আটকে গোপনে কথা বলছিলেন ওই ৫-৬ জন। গ্রামবাসীরা ঘিরে তড়িঘড়ি পালাতে দেখা গেল তাঁদের।

অক্ষয় কুমারের জনপ্রিয় ছবি স্পেশাল ২৬-এর কথা অনেকেরই মনে আছে। সাদা পোশাকে ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে একের পর এক বাড়িতে লুঠপাট চালাত তারা। সেই সিনেমার দৃশ্যই যেন হুবহু চোখের সামনে ফুটে উঠল ধূপগুড়ির রেলস্টেশন মোড়ে।

শনিবার দুপুর। হঠাৎই এক সুপারি বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন সাদা পোশাকের কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালককে নিয়ে গিয়ে ঢোকানো হয় কাছের এক সিমেন্টের গোডাউনে। সেখানে শুরু হয় গোপন কথাবার্তা। প্রথমে লোকজন ভেবেছিলেন কোনও সরকারি দফতরের অভিযান চলছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও অভিযানের কোনও নামগন্ধ নেই। কারও পরিচয়ও স্পষ্ট ছিল না। তখনই সন্দেহ বাড়তে থাকে এলাকায়।

ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা পৌঁছে ভিডিয়ো করতেই ক্যামেরা দেখে তড়িঘড়ি ছুট। ছেড়ে দেওয়া হয় পিকআপ ভ্যানটিও। চালককে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি, বরং দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়েন। এদিকে যাঁরা নিজেদের আধিকারিক বলে দাবি করছিলেন, তাঁরাও সাংবাদিকদের সামনে পড়েই দিশেহারা! কেউ গাড়িতে উঠে পালান, কেউ আবার দৌড়ে চলন্ত বাসে চেপে বসেন। তাঁদের মধ্যে একজন একটি লাল রঙের থার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

এখন বড় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, যদি তাঁরা সত্যিই আধিকারিক হন, তবে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই কেন পালিয়ে গেলেন? কেন দিনের পর দিন অবৈধ সুপারি পাচার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ না করে গোপনে ‘আলাপ’ চলছিল? আর যদি তাঁরা ভুয়ো হন, তবে কাদের স্বার্থে এই নাটক সাজানো হচ্ছিল?

পুজোর মুখে ধূপগুড়িতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, ভুয়ো আধিকারিক সেজে পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের ফন্দিই ছিল এদের আসল উদ্দেশ্য। সত্যিই কি তাই? নাকি এর পেছনে আরও বড় কোনও চক্র সক্রিয়? উত্তর খুঁজছে ধূপগুড়ি।