Elephant Attack: দিনের বেলাতেই হাতির আতঙ্ক, রাতে কী হবে? ভেবে কুল পাচ্ছে না ঝাড়গ্রামবাসী
Jhargram: রবিবার ঝাড়গ্রামে নয়াচরে একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এবার হাতির হামলাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।
সাঁকরাইল: ফের হাতির তাণ্ডবে উত্তাল গ্রাম। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কাশিডাঙা, হাড়িভাঙা গ্রামে হাতির তাণ্ডবে রীতিমত আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, প্রায় তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশটি দাঁতালের দল আচমকা খাবারের সন্ধানে ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে। আর নষ্ট করে দেয় মাঠের ফসল। এদিকে, বনদফতরের তরফেও উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, রবিবার ঝাড়গ্রামে নয়াচরে একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এবার হাতির হামলাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। এরপর সোমবার সাতসকালেই হাতিদল তাণ্ডব চালিয়েছে দু’টি জায়গায়। যার ফলে আরও আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়।তবে নতুন করে এলাকায় হাতির দল ঢোকাতে বন দফতরের চিন্তা যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত।
এক এলাকাবাসী বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। ঋণ নিয়ে চাষবাস করি। খেটে খাই। প্রায় প্রতিদিনই হাতি চলে আসে লোকালয়ে আর নষ্ট করে দেয় ফসল। অথচ সরকার কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। রোজ-রোজ এই আতঙ্কে আমরা বেঁচে আছি। জমি যদি এইভাবে নষ্ট হয়ে যায় আমরা খাব কী? না খেতে পেয়ে মরতে হবে আমাদের। আজ সকালেও হাতির তাণ্ডব চলেছে এলাকায়। প্রায় তিরিশ থেকে পয়ঁত্রিশটা হাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জঙ্গলে এলাকায় ঢুকে পড়েছে।”
আজ সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কাশিডাঙ্গা ও হাড়িভাঙ্গা গ্রামে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি দাঁতাল হাতির দল আচমকা খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। এরপর গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় তারা। ফলত প্রচুর ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে । কিন্তু বনদফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের কেবলমাত্র সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন গ্রামবাসী। তাঁদের বক্তব্য শুধু সতর্ক বাণী শুনিয়েই কাজ সারতে চেয়েছে বনদফতর। নেওয়া হয়নি কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।