100 days Working: ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের অ্যাকাউন্টে, মালদায় ফের কাঠগড়ায় শাসকদল

Malda Corruption: একশো দিনের কাজের প্রায় পনেরো কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

100 days Working: ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের অ্যাকাউন্টে, মালদায় ফের কাঠগড়ায় শাসকদল
মালদায় টাকা তছরূপের অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 12:49 PM

মালদা: দুর্নীতি আর মালদা যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। কখনও খুন,কখনও নারী নির্যাতন, কখনও বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। এবার একশো দিনের কাজের প্রায় পনেরো কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। যার তদন্তে নেমেছে ক্যাগের প্রতিনিধি দল। ইতিমধ্যেই মালদার রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেরিনা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি একাধিক অভিযোগে নাম জড়িয়েছে সেরিনার পুত্রেরও। জানা গিয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে তাঁর পুত্র ওয়াসিম আকরামের অ্যাকাউন্টে।

কী জানা যাচ্ছে?

জানা গিয়েছে, একশো দিনের প্রকল্পে কবরস্থান সংস্কার থেকে শুরু করে উদ্যান পালন ও রাস্তার তৈরির নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে। আর অধিকাংশতেই কোনও কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

তবে এই ঘটনা আজকের নয়। ২০২০ সালের। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর নাগাদ শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এনিয়ে তাঁরা প্রথমে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলা শাসক অভিযোগের তদন্ত করার জন্য রতুয়া-২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিওর নেতৃত্বে চারজনের একটি কমিটি গঠন করে দেন। তদন্তে অনেক অনিয়ম ধরা পড়ে। এনিয়ে প্রধানকে শোকজও করা হয়।

পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী তাঁর সদস্যপদ খারিজের জন্য চাঁচল মহকুমা আদালতে মামলা রুজু হয়। কিন্তু তার শুনানি এখনও পর্যন্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনজন গ্রামবাসী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই তাঁদের খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। সেই হুমকির ভয়ে বাকি দুই মামলাকারী মামলা থেকে নিজেদের নাম তুলে নিলেও একজন অজ্ঞাতবাসে থেকেই এই মামলা লড়ে যাচ্ছেন।

তবে মামলায় চারবার শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের ভার দেয় ক্যাগকে। ইতিমধ্যেই ক্যাগের একটি প্রতিনিধি দল গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে দীর্ঘ সময় তদন্ত চালিয়েছে। ওই দলের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়েও দেখেন। তদন্ত শেষে তাঁরা কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। তবে তাঁরা যে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাজকর্মে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত দুই পঞ্চায়েতকর্মী জানিয়েছেন, তদন্তে দুর্নীতির বিষয়টি ক্যাগের সামনে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। তদন্তে যে প্রধান ও তাঁর সহযোগীদের ওপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসছে তা নিশ্চিত।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: সিবিআই তদন্তে অখুশি নিহত অভিজিতের দাদা, কাঁকুরগাছি মামলায় এবার নয়া মোড়