Jhargram: স্টপেজ নেই, অথচ বন্দে ভারত উদ্বোধনের অনুষ্ঠান! বঞ্চনার অভিযোগ ঝাড়গ্রামবাসীর
হাওড়া-রাঁচী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যখন ট্রায়াল রান হয়েছিল, তখন তা দাঁড়িয়েছিল ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। তার পরই ঝাড়গ্রামবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল এই ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে। রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে ট্রেনটি। যদিও ওই ট্রেনের স্টপেজ নেই, কিন্তু উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে সে জন্য কেবল আজই ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে উচ্চগতি সম্পন্ন ওই ট্রেন।
ঝাড়গ্রাম: রবিবার ভার্চুয়ালি ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-রাঁচী ও হাওড়া-পটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া-রাঁচী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা হিসাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। তা ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা ছড়িয়েছিল ঝাড়গ্রামবাসীর মধ্যে। যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও হাওড়া-রাঁচী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোনও স্টপেজ নেই ঝাড়গ্রামে। তা ঘিরেই হতাশ ঝাড়গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, রেলের বঞ্চনার স্বীকার হয়েছেন।
হাওড়া-রাঁচী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যখন ট্রায়াল রান হয়েছিল, তখন তা দাঁড়িয়েছিল ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। তার পরই ঝাড়গ্রামবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল এই ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে। রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে ট্রেনটি। যদিও ওই ট্রেনের স্টপেজ নেই, কিন্তু উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে সে জন্য কেবল আজই ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে উচ্চগতি সম্পন্ন ওই ট্রেন। রবিবারও বন্দে ভারত দাঁড়াবে শুনে অনেকে টিকিট কাটতে যান। কিন্তু স্টপেজ না থাকাট টিকিট দেওয়া হয়নি। এর পরই হৃদয় ভাঙে ঝাড়গ্রামবাসীর। এ বিষয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে কর্মরত রেলের এক আধিকারিক বলেছেন, “আজ সন্ধ্যাবেলা অনুষ্ঠান রয়েছে ঝাড়গ্রামে। সে জন্য ট্রেনটি দাঁড়াবে। রাঁচী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এখানে স্টপেজ নেই।”
শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে প্রচার করার জন্য এই স্টপেজ মানতে পারছে না ঝাড়গ্রামবাসী। রেল তাঁদের সঙ্গে ছলনা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছিল। যেগুলো এখনও চালু হয়নি। লোকাল ট্রেনকে প্যাসেঞ্জার করে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। তার উপর ফের এই বঞ্চনা। ঝাড়গ্রাম পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করার পরও রেল পরিষেবা সে ভাবে সুবিধাজনক হয়নি। বন্দে ভারতকে ঘিরে কিছুটা আশার আালো দেখেছিল ঝাড়গ্রামবাসী। কিন্তু জুটল শুধু বঞ্চনা।” যদিও এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের কারণ নিয়ে কোনও জবাব দেননি ঝাড়গ্রামের সাংসদ থেকে রেলের আধিকারিকরা।