আগমনীর সুরেও ফিকে হল না বিচারের দাবি, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে গণতর্পণ, মহালয়ায় ভোর দখল

Bhor Dakhal: চারিদিকে উৎসবের আমেজ। তবে এবারের উৎসব যেন আলাদা। এ যেন দ্রোহের উৎসব। তিলোত্তমার কথা ভোলেনি সাধারণ মানুষ। তাই মহালয়াতেও দিকে দিকে উঠল বিচারের দাবি। কোথাও ভোর দখল করলেন মহিলারা, কোথাও আবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে তাঁর উদেশ্যেও তর্পণ করা হল। 

আগমনীর সুরেও ফিকে হল না বিচারের দাবি, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে গণতর্পণ, মহালয়ায় ভোর দখল
তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে তর্পণ।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Updated on: Oct 02, 2024 | 8:07 AM

কলকাতা:উমা আসছেন পিতৃলয়ে। পিতৃপক্ষের অবসান করে সূচনা হল দেবীপক্ষের। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। তবে এবারের উৎসব যেন আলাদা। এ যেন দ্রোহের উৎসব। তিলোত্তমার কথা ভোলেনি সাধারণ মানুষ। তাই মহালয়াতেও দিকে দিকে উঠল বিচারের দাবি। কোথাও ভোর দখল করলেন মহিলারা, কোথাও আবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে তাঁর উদেশ্যেও তর্পণ করা হল।

শহর কলকাতায় একদিকে যেখানে রুবির ভোরে রাত দখল করা হয়, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে রাস্তায় প্রতিবাদের ছবি আঁকা হয়, সেখানেই মহালয়া দিন সকালবেলায় ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে বেহালা থানার উল্টো দিকে আরজি করে তিলোত্তমা খুনের ঘটনা পথও নাটিকা করে দেখালেন জোকা ইএসআইয়ের জুনিয়র ডাক্তাররা। পথ চলতি মানুষেরা সবাই সেই নাটক দেখলেন।

মহালয়ার তিথিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্যেশ্যে তর্পণ নিবেদন চলছে। পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণের ভিড়েও এ দিন উঠল তিলোত্তমার বিচারের দাবি। তিলোত্তমার আত্মার শান্তি কামনায় এদিন গণতর্পণ নিবেদন করেন একদল মানুষ।

দেবীপক্ষের সূচনাতেই নতুন করে আন্দোলনের চিত্র শ্রীরামপুরে। দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় মহিলারা। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে শুরু হয় মিছিল। এই মিছিল শেষ হবে শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাটে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগ দেয় এই প্রতিবাদ মিছিলে।

অন্যদিকে, মাতৃ পক্ষের সূচনাতেই রাত্রি বারোটার পর মশাল জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান করলেন মেদিনীপুর শহরের একদল মানুষ । তিলোত্তমার বিচার চেয়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন সাধারণ মানুষ।  তাদের ভোর দখল প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে ভোররাতে হাজির হন ভারতের যুব ফেডারেশন রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। মশাল প্রজ্জলন, পথনাটিকা, আদিবাসী নৃত্য, কবিতা, আবৃত্তি , স্ট্রিট পেন্টিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হন মেদিনীপুর শহরের মানুষ । বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক এভাবেই প্রতিবাদে বিভিন্ন মাধ্যমে রাস্তায় থাকবেন বলেই শপথ নিলেন শহরের মানুষ। ।

আলিপুরদুয়ারেও এ দিন ভোরদখল করা হয় আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের তরফে। মহালয়ার ভোরে আলিপুরদুয়ারে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শুরু হয় ভোর দখল। ভোর ৪ টা থেকে এই কর্মসূচি চলে। আরজি কর কান্ডে বিচার চেয়ে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজ ভোর দখলে নাম। বহু মহিলা এ দিন এই ভোরদখলে অংশ নেন।

চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়েও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখা যায়। “পুজোয় আছি, প্রতিবাদেও আছি” বন্ধু সমাজের ডাকে এক অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। দুর্গার ছবিতে ধূপ-ধুনো-মোমবাতি জ্বেলে ভোর দখলের মাধ্যমে মহালয়া পালন করা হয়। চুঁচুড়া অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে বকুলতলা তর্পন ঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়।