Malda Flood: বন্যায় পেটে ঢুকল বিষ-জল? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ শাশুড়ি, বউমা, নাতনি
Malda Death: বাড়ির খাবার এবং প্রশাসনের তরফে টিউবওয়েলের জল পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু অভিযোগ, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা হলেও সেই জায়গায় কোনও স্বাস্থ্য দফতরের টিম যায়নি।

বৈষ্ণবনগর: সকালে অসুস্থতা, রাতের মধ্যেই মৃত্যু একই পরিবারের তিন সদস্যের। বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই মালদহে শাশুড়ি, পুত্রবধূ ও নাতনির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়রা। মৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১০। ময়নাতদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চকবাহাদুরপুর গ্রামে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। অসুস্থদের মধ্যে একজনের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে বাকি দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের দাবি, বাড়ির টিউবওয়েলের জল পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। অথবা, খাবারের বিষক্রিয়ার কারণেও হতে পারে মৃত্যু। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের নাম পুষ্প মণ্ডল(৬৫), বুল্টি মণ্ডল(৩৫) এবং পিউ মণ্ডল (১০)।
বাড়িতেই তিনজন একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বৈষ্ণবনগরের বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসকরা তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথে পিউ মণ্ডলের মৃত্যু হয়। বাকি দু’জনকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রাতে মৃত্যু হয় তাঁদের।
পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউই। বাড়ির খাবার এবং প্রশাসনের তরফে টিউবওয়েলের জল পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু অভিযোগ, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা হলেও সেই জায়গায় কোনও স্বাস্থ্য দফতরের টিম যায়নি। জলবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে কি না, সেই খোঁজও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক।
