মালদহ: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা কালীঘাট থেকে ঘোষণাই দস্তুর। কিন্তু এবার যেন আর তর সইছে না দলের নেতাদের। নিজেরাই এগিয়ে আসছেন। যেমন প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাবিত্রী জানিয়ে দেন, তিনিই মানিকচক বিধানসভার প্রার্থী। অন্য কেউ নয়। নেত্রীর এমন ঘোষণায় ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়। একইসঙ্গে উঠে আসছে গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্বও।
এর আগে হাওড়া শিবপুরের বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ি ঘোষণা করেন তিনি ফের এ কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছেন। আত্মবিশ্বাসী জটু বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে জানি, বিধায়ক হিসেবে আমি আবার নামব।” তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখনও দেখা গিয়েছে শিবপুরের বিভিন্ন জায়গায়।
আরও পড়ুন: মমতার প্রার্থী তালিকায় কোন কোন তারকা, দেখে নিন গুঞ্জনে এগিয়ে কারা
অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নবদ্বীপের বিদায়ী বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার সমর্থনেও দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়। এবার এক ধাপ এগিয়ে এলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। দলীয় এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাবিত্রীর ঘোষণা, “মানিকচক কেন্দ্রে যাওয়ার মতো দলে আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। আজ আমি ঘোষণা করে দিচ্ছি সাবিত্রী মিত্র এখানে প্রার্থী হবে। অন্য কেউ নয়।”
মালদহ জেলায় বারবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সওয়াল ওঠে। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, নীহাররঞ্জন ঘোষ কিংবা সাবিত্রী মিত্র—কোন্দল নিয়ে অভিযোগের নানা মুখ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কানে যায় সে সব খবর। সম্প্রতি জেলা সফরে গিয়ে এ নিয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তবু পরিস্থিতিতে কোনও বদল আসেনি বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছল বিজেপির প্রার্থী তালিকা, একই কেন্দ্রের জন্য একাধিক নাম
এরইমধ্যে আবার সাবিত্রীর এই ঘোষণায় হইচই পড়ে গিয়েছে জেলায়। এর তীব্র সমালোচনা করেছেন জেলার অন্যান্য তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের প্রতিক্রিয়া, “প্রতি কেন্দ্রে ১০-১২ জন করে দাবিদার আছেন। উনিও তেমনই দাবিদার।”